মায়ের সতীত্ব ও সাম্প্রদায়িকতা

লিখেছেন লিখেছেন ডেমন ০৯ জানুয়ারি, ২০১৪, ০৬:৩২:৪৭ সন্ধ্যা

ঘটনাঃ১- ফরিদপুরে দুই বন্ধু সাদ্দাম আর জুবায়ের। ছোটবেলা থেকে বন্ধু। ৩রা মার্চ ২০১৩, ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুজনের মধ্যে মাঠে মারামারি হয়। সাদ্দামের বাবা গ্রামের মাতুব্বর। পেশি শক্তির জোরে সাদ্দাম আর তার বংশের লোকেরা হামলা চালাল জুবায়েরের বাড়িতে। জুবায়েরের মা বোন লাঞ্চিতসহ আহত ছয়। (বিবাদের কারণ ধর্মীয় নয়)

খবরঃ সাম্প্রদায়িকতা নয়। জুবায়ের ভিকটিম ও ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ।

ঘটনাঃ২- পিরোজপুরে মাজিদ আর নিতাই পাশাপাশি প্রতিবেশী। দুজনের বাড়ির ঠিক মাঝখানটায় কিছু পরিত্যক্ত জমি। ভূমি রেজিস্ট্রি অফিস থেকে লোক এসেছে জমি রেজিস্ট্রি করতে। দুজনই ঐ পরিত্যক্ত জমি নিজের পূর্বপুরুষদের সম্পত্তি বলে দাবী করল। প্রথমে কথা কাটাকাটি পরে এক পর্যায় হাতাহতি। নিতাইয়ের এলাকায় বেশ শক্তি তাই দলবল নিয়ে হামলা করল মাজিদের বাড়িতে। (বিবাদের কারণ ধর্মীয় নয়)

খবরঃ সাম্প্রদায়িকতা না। মাজিদ ভিকটিম ও ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ।

ঘটনাঃ৩- পাবনায় বড়বাজারের দুই ব্যবসায়ী হরিচাদ ও শান্তি দাস। বড়বাজারের পানের ব্যবসা তারাই নিয়ন্ত্রণ করেন। ২৬শে এপ্রিল পান ব্যবসাকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। হরিচাদ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা। দলবল নিয়ে হামলা চালালেন শান্তি দাসের বাড়িতে। ঘরবাড়ি ভাংচুর ও আগুন লাগানো হল। (বিবাদের কারণ ধর্মীয় নয়)

খবরঃ সাম্প্রদায়িকতা নয়। হরিচাদ ভিকটিম তবে হরিচাদ, শান্তি দাস দুজনই ধর্মীয় সংখ্যালঘিষ্ঠ।

ঘটনাঃ৪- খুলনায় হানিফ মুন্সী আর বলরাম দুই অন্তরঙ্গ বন্ধু। একসাথে প্লাস্টিক ব্যবসা করেন পাঁচ বছর যাবত। বন্ধুত্বের খাতিরে দুজন মিলে শহরের এক পাশে জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। হানিফ মুন্সীর ছেলে শামীম আর বলরামের ছেলে প্রনয় সমবয়সী, পাঁচ আর ছয়। ১৭ই জুলাই ২০১৩ শামীম আর প্রনয় খেলতেছিল বাড়ির উঠোনে। হানিফ মুন্সি ছিল একটা কাজে ঢাকায় আর বলরাম ছিল বাজারে গুদামঘরে। খেলতে খলেতে একপর্যায় মারামারিতে জরায়। শিশুদুটির মারমারি একপর্যায় ছড়িয়ে পরে হানিফ মুন্সী আর বলরামের বউদের মধ্যে। বলরামের বউ বলরামকে ফোন করে সব বলে বাড়িতে আসতে বলে। বলরাম বউয়ের অপমান সইতে না পেরে হানিফ মুন্সীর বউকে বকাঝকা করে। হানিফ মুন্সীর বউ আবার হানিফ মুন্সীকে ফোন করে সব বলে তারাতারি বাড়িতে আসতে বলে। হানিফ মুন্সী বাড়িতে এসে দলবল নিয়ে হামলা চালায় বলরামের ঘরে। (বিবাদের কারণ ধর্মীয় নয়)

খবরঃ সাম্প্রদায়িকতা। বলরাম ভিকটিম ও ধর্মীয় সংখ্যালঘিষ্ঠ।

এই হল মোটামুটি আমাদের দেশে সাম্প্রদায়িকতা আর অসাম্প্রদায়িকতার ইনসাইড স্টোরি।

এখন আসি আরেকটা দিকে। সাম্প্রদায়িকতার সূক্ষ্ম দৃষ্টিভঙ্গিঃ

সর্বজন বিদিত কিনা জানিনা তবে আমি আমার গ্রামে যা দেখেছি তারই একটা প্রতিবিম্ব তুলে ধরার চেষ্টা করছি। এখানে সত্য বৈ মিথ্যা নয়। আমাদের গ্রামে হিন্দু মুসলিমের সংখ্যা প্রায় সম। প্রসঙ্গতই গ্রামের বাজারে হিন্দুদের দোকানও কম নয়। আমি গ্রামের অন্য কোন দিক নিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বুলি আওড়াব না। শুধু বাজারের চিত্রটাই তুলে ধরার চেষ্টা করব। অসাম্প্রদায়িক দেশের মধ্যে যে বাজার থাকবে তা নিশ্চয় অসাম্প্রদায়িক হতে হবে? তাহলে অসাম্প্রদায়িক বাজারের বৈশিষ্ট্যটা কি হতে পারে। বাজারের প্রধাম ফাংকশন হচ্ছে বেচা কেনা। তাই অবশ্যই বেচা কেনায় অসাম্প্রদায়িকতা থাকতে হবে? তার মানে হল কোন হিন্দুর দোকান থেকে কোন মুসলমান যেমন দ্রব্য ক্রয় করবে তেমনি কোন হিন্দুও কোন মুসলমানের দোকান থেকে ক্রয় করবেন। কিন্তু চিত্রটা যদি হয় এমন যে প্রায় সব হিন্দুইরাই হিন্দুদের দোকান থেকে দ্রব্য ক্রয় করে? এখানে কি অসাম্প্রদায়িকতা আছে? অবশ্যই নেই। আর এই চিত্রটা আমার এলাকায় অনেক বেশি লক্ষণীয়। কিন্তু এমন দেখিনি যে প্রায় সকল মুসলমান শুধু মুসলমানের দোকান থেকেই ক্রয় করেন। হিন্দুদের দোকানে মুসলমানের লম্বা লাইন দেখা গেলেও মুসলমানের দোকানে হিন্দুদের ছোট লাইনও অমাবস্যার চাঁদ। এই চিত্র শুধু বাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। প্রত্যাহিক জীবনে প্রায় সকল অংশেই বিরাজমান। সাম্প্রদায়িকতার চরম ভিকটিম অবশ্যই হিন্দুরা। তাহলে তারা কেন নিজেদের রক্ষার্থে নিজেদের প্রত্যাহিক জীবনে সাম্প্রদায়িকতা লালন থেকে বিরত থাকছেন না?

এবার চলুন একটু অন্যদিকে। আচ্ছা হামলার বেলায় যদি সাম্প্রদায়িক পরিচয় দেয়াটা মাস্ট হয়ে যায় তাহলে কেন অন্যান্য বেলায় সাম্প্রদায়িক পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য ধারণ করবে না? যেমন ধরুন যখন বিনয় ছাত্রলীগে নাম লিখিয়ে চাদাবাজি করবে তখন কেন বলা হবে না সাম্প্রদায়িক বা সংখ্যালঘুর চাঁদাবাজি? আবার ধরুন যখন বিনয় শিবিরের কোন কর্মীকে মারধর করবে তখন কেন বলা হবে না সংখ্যালঘুর দারা নির্যাতিত বা সাম্প্রদায়িক নির্যাতন? কিন্তু বিনয়ের আওয়ামীলীগ ক্ষমতা থেকে গেলে ছাত্রদলের কোন কর্মী বিনয়ের কাছে প্রতিশোধস্বরূপ চাদা দাবী করলে সেটা হয়ে যাবে সাম্প্রদায়িক। আবার বিনয় ছাত্রলীগের সাথে শিবিরের সাথে সংঘর্ষে গিয়ে মার খেলে হয়ে যাবে সাম্প্রদায়িক হামলা।

যেকোনো সমস্যা সমাধান করতে হলে শুরু করতে হয় গোঁড়া থেকে। ঠিক যেমনটা গাছের গোঁড়ায় পানি না ঢেলে পাতায় পানি ঢালার ফলাফল অন্তঃসারশূন্য তেমনি বর্তমানে মিডিয়া, সরকার কিংবা বুদ্ধিজীবীদের সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধের উদ্যোগের ফলাফলও অন্তঃসারশূন্য হয়েছে, হচ্ছে, হবে। আগে ডিফাইন করতে হবে সাম্প্রদায়িক হামলাকে আর সর্বপ্রথমে বর্জন করতে হবে ‘সংখ্যালঘু’ শব্দটাকে। হ্যাঁ সাম্প্রদায়িক হামলা আমাদের দেশে খানিক ঘটে এটা যেমন সত্যি, যাকে সাম্প্রদায়িক হামলা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে তার বেশিরভাগই সাম্প্রদায়িক হামলার মধ্যে পরে না এটাও তেমন সত্যি। সাম্প্রদায়িক হামলাটা যদি হয় ধর্মীয়কারনে সেটা নিয়া আমাদের স্টাডি করা দরকার, অবশ্যই অপরাধীদের উপযুক্ত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যেমন পুজার সময় অসভ্যদের মণ্ডপ ভেঙ্গে ফেলা, বিদেশে কোন সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে এদেশে মন্দির, গির্জায় হামলা করা, মসজিদে মাইক ব্যবহার নিয়ে বিবাদে জড়ানো ইত্যাদি। কিন্তু কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী, কিংবা অন্য কোন ফায়দা লুটার জন্য হামলাকে কখনই সাম্প্রদায়িক হামলা বলে চালিয়ে দেয়া যাবে না। এতে মূল ঘটনা অন্তরালে থেকে যায় আর সমাধানের ছিটেফোটাও হয়না। উপড়ের ঘটনাঃ ১,২,৩,৪ কোনটাই সাম্প্রদায়িক নয়। চারটি ঘটনাই প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে কিন্তু আমাদের ‘সাম্প্রদায়িক হামলা’ বিশেষজ্ঞরা ঘটনাঃ৪ কে প্রতিনিয়তই সাম্প্রদায়িক বলে সাম্প্রদায়িক হামলা বন্ধের পথ সংকীর্ণ করে তুলছেন।

এবার আসি আরেকটা দিকে। আমরা বাঙালী। নিজেদের অনেক সভ্য মনে করলেও মায়ের সতীত্ব নিয়ে রাজনীতি করতে মোটেও দ্বিধাবোধ করিনা। যুদ্ধাপরাধীর বিচার নিয়ে ঠিক যেমন রাজনীতি হয়েছে, হচ্ছে ঠিক তেমনি ধর্ম নিয়ে রাজনীতিও অনেক বেশি। আমরা আসলে কতটুকু সচেতন? আমাদের সচেতনতার মাপকাঠি হিসেবে আমি দুইটা জিনিষ তুলে ধরব। আমাদের রাজনীতিবিদদের সবচেয়ে বড় ট্রাম কার্ড দুটির একটি হচ্ছে ধর্ম আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আমাদের রাজনীতিবিদরা এখনো এ দুটি কার্ড নিয়ে আমাদের সাথে বেজায় খেলছেন। কিন্তু আমরা সবাই জানি আমাদের বড় দলগুলো ধর্মীয় চেতনা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কতখানি লালন করেন। আমরা সব জেনে শুনেও ট্রাম কার্ডের চালে নিজেদেরকে সপে দিচ্ছি। এর সাথে একটা মিল আছে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে। যখন তাদের উপর হামলা করা হয় তখন হিন্দুরা, মিডিয়া ও সুশীলরা দুর্বৃত্তের পরিবর্তে দোষীদের জামায়াত শিবির ট্যাগ দিয়ে দেয়। ফলে ঘটনা মোড় নেয় অন্য দিকে। মূল দুর্বৃত্তরা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। বরিশালে হিন্দুদের উপর হামলা হল। সুশীল, মিডিয়া, হিন্দুরা হামলার বিরুদ্ধে সরব। যখন প্রমান হল হামলা করেছে ছাত্রলীগ, সবাই চুপ। ঠিক সাথিয়া, দিনাজপুর, রামুতে একই ঘটনাচিত্র। হিন্দু ভাইদের বলছি আপনাদের প্রতিমা মায়ের উপর যারাই হামলা করুক তারদের বিরুদ্ধেই সরব হন। নিজের মায়ের সতীত্ব নিয়ে খেলবেন না। আর আওয়ামীলীগের একটি ভোট গ্যাং হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়। কিন্তু আওয়ামীলীগও তাদের নিয়ে অনেক নোংরা রাজনীতির খেলা খেলেছেন। তাই হিন্দু ভাইদের উচিত হবে নিজেদের অধিকারের মাধ্যমে নিজেদের আত্মরক্ষা করা।

শেষে আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানের পড়িসর থেকে কিছু উপক্রমণিকা টানতে পারি।

ক। প্রথমেই সংখ্যালঘু শব্দটা বর্জন করতে হবে।

খ। প্রত্যাহিক পারস্পারিক জীবনযাপনে সবাইকে সাম্প্রদায়িকতার ছোবল থেকে মুক্ত হতে হবে। (অবশ্য ধর্মীয় দিক দিয়ে সচেতন হয়েই)

গ। কোন হামলা হলেই তা জামায়াত শিবিরের ঘারে না চাপিয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হবে।

ঘ। হামলাকারী যে দলেরই হোক না কেন তাকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দার করাতে হবে।

ঙ। যদি কোন দল বা বিশেষ গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক হামলায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ দেয় তাহলে সে দল বা বিশেষ গোষ্ঠীকে অবশ্যই বর্জন করতে হবে।

চ। আর শেষমেশ সবচেয়ে বড় কাজটি করতে হবে নিজের মায়ের সতীত্ব নিয়ে রাজনীতি বা অন্য কোন ফায়দা লুটার গেম খেলা থেকে নিজেদের মুক্ত করে।

সাম্প্রদায়িক হামলা আমার দেশে অনেক কম হয়। যারা কোন ঘটনাকে মিথ্যা সাম্প্রদায়িক হামলার নাটক রূপে মঞ্চস্ত করে তাদের ধিক্কার জানাই। আর সকল প্রকৃত সাম্প্রদায়িক হামলার তিব্র নিন্দা জানাই।

বিষয়: বিবিধ

১২৫৯ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

160816
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:০৯
শেখের পোলা লিখেছেন : দশের চক্রে ভগবান ভূত সর্বদাই হচ্ছে৷ সবচাইতে আগে মানুষের চরিত্র বদলাতে হবে, আর তা হবে অন্তরে ভয় থাকলে৷ ভয় দুরকম, আল্লাহর ভয় তার পর আইনের ভয়৷ এর কোনটাই বাঙ্গাসলীর নেই৷ তাই সবাই বে পরওয়া৷ ধন্যবাদ৷
160831
০৯ জানুয়ারি ২০১৪ রাত ০৮:৫০
বুড়া মিয়া লিখেছেন : বললে তো খারাপ, কিন্তু না বললেও নয় – যাদের ধর্ম তাদের নিজেদের গোষ্ঠির মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা লালন করে, তারা সাম্প্রদায়িক হবে না তো আর কেমন হবে? বামন এর মেয়ে বিয়া হবে বামন ছেলের সাথে আর কোন সম্প্রদায় চলবে না, শীলের বিয়া করতে শীল লাগবে, পূজা দিতে খালি বামন-ই হতে হবে, স্বর্ণের কাম করতে কর্মকার-ই লাগবে, মিষ্টি বানাইতে খালি ঘোষ-ই লাগবে, দোকানদারী করতে খালি সাহা-ই লাগবে এমন সাম্প্রদায়িক চরিত্র যাদের ধর্মবিধান এবং আজও যা তারা লালন করে পরম শ্রদ্ধায় – তাদেরকে আপনারা কিভাবে বদলে যেতে বলবেন বা কিভাবে তারা বদলাবে? তাদের ধর্মের অস্তিত্ব তাদের নিজেদের মধ্যে যতদিন থাকবে, তাদের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা ততদিনই থাকবে। শুধু শুধুতো আর মানুষ ওদের গালিগালাজ করে না – এসব কারণেই গালি দেয়। ওরা নিজেরাই ওদের ধর্মীয় টাইটেল ধরে এক সম্প্রদায় আরেক সম্প্রদায়কে গালি দেয় এবং এটা আমার নিজের-ই দেখা।

ওদের ইন্ডিয়াতেই তো ওরা সাম্প্রদায়িকতার শিকার জীবনের প্রতিটা স্তরে স্তরে – সেখানে মিডিয়া সেগুলো প্রচার করবে না, এখানে কেন বলবে? কারণ এটাই – আমরা মুসলমান এবং যেহেতু সারাবিশ্বে মুসলমানকে জঙ্গীরূপে প্রচার করে অন্যরা লাভ যায় – তাই এখানেও একই প্রচার করে ইন্ডিয়ার লাভ অর্জনের চেষ্টা? এবং সে চেষ্টা সফলের জন্য আমাদেরই ভাইয়েরা সামান্য টাকার বিনিময়ে অস্তিত্ব বিসর্জন দিতে যাচ্ছে?

এ বিষয়টা সামনে আনা দরকার – এ ধর্মীয় চরিত্রই ওদের এমন করে গড়ে তুলে, আর ওদের ধর্মের কুফল মুসলমানদের উপর চাপানোর কোন মানে হয় না। জন্মের পরে ওদের প্রতিটা গোত্রই শিখে সাম্প্রদায়কতা ধর্মের আলোকে, কর্মকান্ড করে যায় সেভাবেই।

আপনাদের যাদের লেখার হাত ভালো – তারা এটাকেও তুলে ধরেন, ছাল-বাকলা বাদ দিয়ে রুট ধরে টানতে হবে এবং রুট দেখিয়েই প্রমাণ করতে হবে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File