অনেক কিছু জানার, শেখার ও মানার আছে

লিখেছেন লিখেছেন আল হোছাইন ১৪ জানুয়ারি, ২০১৪, ১২:২৭:৩৪ রাত

মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট। তাঁর আদর্শ অশান্ত সমাজে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিতে পারে। তার চরিত্র সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন- ''নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে মহত্তম আদর্শ '' (আল-কোরআন)

স্বয়ং মহানবী ( সাঃ ) নিযের সম্বন্ধে বলছেন- , ''উত্তম আদর্শের পরিপূর্ণতা দানের উদ্দেশ্যেই আমি প্রেরিত হয়েছি '' । (আল-হাদিস)

তাঁর সম্বন্ধে বিশ্বের বড় বড় অমুসলিম মনীষিরা পর্যন্ত মন্তব্য করে গেছেন ।

ব্রিটিশ মনীষী 'জর্জ বার্নাডশ' বলেন, - “I believe if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world he would succeed in solving its problems in a way that would bring much needed peace and happiness. I have studied him - the man and in my opinion is far from being an anti–Christ. He must be called the Savior of Humanity. I have prophesied about the faith of Mohammad that it would be acceptable the Europe of tomorrow as it is beginning to be acceptable to the Europe of today.”

অর্থাৎ, ''আমি বিশ্বাস করি, সমগ্র ব্রিটিশ সাম্রাজ্য এই শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই সংস্কারকৃত মুহাম্মদবাদ গ্রহণ করবে । সব সময়েই আমি মুহাম্মদ ( সাঃ )-এর ধর্ম ও তাঁর আশ্চর্য জীবনী শক্তি সম্পর্কে উচ্চ শ্রদ্ধাপোষণ করে এসেছি । যদি বিশ্বের বিভিন্ন ধর্ম, সমপ্রদায়, আদর্শ ও মতবাদ সম্পন্ন মানব জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এক অধিনায়কের শাসনাধীনে আনা হত, তবে, মুহাম্মদ ( সাঃ ) ই সর্বাপেক্ষা সুযোগ্য নেতা হিসেবে তাদের শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে পরিচালিত করতে পারতেন '' (অর্ধেকের অনুবাদ)।

(2) আমেরিকার প্রখ্যাত গবেষক ও পন্ডিত 'মাইকেল এইচ হার্ট' তাঁর রচিত গ্রন্থে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ 100 মহামনীষীর নাম তালিকাভুক্ত করেছেন, লেখক তাঁর গ্রন্থে সর্বপ্রথম মুহাম্মদ (সাঃ )-এর নাম উল্লেখ করে বলেন, -My choice of Muhammad to lead the list of the world's most influential persons may surprise some readers and may be questioned by others, but he was the only man in history who was supremely successful on both the religious and secular level."

অর্থাৎ, “আমি মুহাম্মদকে বিশ্বের প্রভাবকদের তালিকায় প্রথম স্থান দেওয়ায় অনেক পাঠকই আশ্চর্য হবেন আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলবেন; কিন্তু ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি ধর্মীয় ও অধর্মীয় মানদণ্ডে একযোগে ও সর্বাধিক বেশি সফলকাম”

এ ছাড়া জন ডেভেন পোর্ট, 'লিও তলস্তয়, জোসেফ হেল, ডা. স্যামুয়েল জনসন, প্রফেসর স্টিফেন্স, জন উইলিয়াম ড্রেপার, আলফ্রেড মার্টিন মরিস গড ফ্রে, আর্থার গিলমান, ওয়াশিংটন আরভিং এডওয়ার্ড মুন্ট, রেভারেন্ড ডব্লিউ স্টিফেন, রেমন্ড এলিয়ন নিকলসন, মানবেন্দ্র নাথ রায়, স্বামী বিবেকানন্দ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মহাত্মা গান্ধী, পণ্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী, পণ্ডিত জহরলাল নেহরু, মিসেস ইন্দিরা গান্ধীসহ অসংখ্য বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিত্ব মহানবী (সা.)-এর বিপুল প্রশংসা করেছেন। এনসাইক্লোপিডিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্বকোষেও হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সফল জীবনালেখ্য শ্রদ্ধার সঙ্গে সনি্নবেশিত হয়েছে।

আসলেই মহানবীর জীবনে অনেক কিছু জানার, শেখার ও মানার আছে।

বিষয়: বিবিধ

১৫৩২ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

162407
১৪ জানুয়ারি ২০১৪ দুপুর ০২:৪৬
আল হোছাইন লিখেছেন : ‘মুহাম্মদ’ (সা.) শব্দটি বাংলা সাহিত্যে প্রথম ব্যবহৃত হয় ত্রয়োদশ শতাব্দির শেষ বা চতুর্দশ শতাব্দির শুরুর দিকে। রামাই পন্ডিতের ‘শূণ্যপুরান’ এর নিরজ্ঞনের রষ্ণ্মাতে এভাবে-
ব্রহ্মা হৈলা মঁহামাদ
বিষ্ণু হৈলা শুলপানি।
গনেষ হৈলা গাজী
কার্তিক হৈলা কাজী।
ফকির হৈলা যতমুনি।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File