সিরিয়ায় আসাদের অপসারণ ও এরদোগান এবং অব্যাহত গ্লোবাল জিহাদ।

লিখেছেন লিখেছেন আলোর দিশা ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৩০:৫৪ রাত

সিরিয়ার আজকের অবস্থা বেশ হতাশাজনক। পতিত ও কোমর ভাঙ্গা রাশিয়া তার সর্বশক্তি নিয়ে শামের মুজাহিদদের উপর হামলে পড়েছে। ‘সুফাহাউ আহলাম’ খারিজীদেরকে সুকৌশলে কাজে লাগিয়ে আসাদ বাহিনী ক্রমেই ইদলিবের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে।

হামার অভ্যন্তর থেকে রাস্তা খালি করে দিয়ে প্রথমে খারিজী আইএস'কে হামায় মুজাহিদদের এলাকা দখলের সুযোগ দেয়। তাহরীর আশ-শাম, আল-কায়েদার মানহাজের মুজাহিদগণ এবং ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সাথে যুক্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দুয়েকটি দল ব্যতীত অন্য কোনো দল এসময় আসাদ বাহিনী ও খারিজীদের মোকাবেলায় এগিয়ে আসেনি।

তো সমস্যা কী ? এর আগেওতো তারা আসাদের মোকাবেলা করেছে ?

সমস্যা আরেকটু গভীরে. ইতোপূর্বে সিরিয়ার প্রায় সকল ফ্রন্ট উন্মুক্ত ছিলো। তখন আসাদ বাহিনীকে সিরিয়ার সবগুলো দলের সাথে যুদ্ধ করতে হয়েছে।

কিন্তু কাযাখস্তানের ‘আস্তানা’য় অনুষ্ঠিত ‘আস্তানা’ সম্মেলনে যামানার সুলতান এরদোগান, রাশিয়া,ইরান ও আসাদের মধ্যে শান্তিচুক্তি হওয়ায় সিরিয়ার প্রায় বেশিরভাগ দল আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ না করে যামানের সুলতানের শান্তিচুক্তিতে পরম শান্তির সুঘ্রাণ নিচ্ছে ! আর ওদিকে আসাদ ও রাশিয়া সিরিয়ার ইদলিব, হামা এবং দামস্কের পূর্ব ‘গুতা’য় নির্বিচার বিমান হামলা চালিয়ে প্রতিটি এলাকাকে ধংসস্তুপে পরিণত করে দিচ্ছে।

অথচ তাদের সেই শান্তিচুক্তিতে উল্লেখ ছিলো ইদলিবসহ হামা এবং গুতায় বিমান হামলা চালানো হবে না !

আসাদ, হিযবুশ-শাইত্বন, ইরান এবং রাশিয়ার সম্মিলিত শক্তি এখন তাহরীর আশ-শাম, আল-কায়েদার মানহাজের মুজাহিদগণ, জাইশুল আহরার (আহরার আশ-শাম থেকে বের হওয়া একটি দল) এবং ফ্রি সিরিয়ান আর্মির কয়েকটি ছোট ছোট দলের বিরুদ্ধে একসাথে যুদ্ধ করছে।

যামানার সুলতানের যিম্মায় কথিত শান্তিচুক্তিতে কথা ছিলো যুদ্ধ ও সংঘাত কমিয়ে আনা হবে। সে মোতাবেক মহামান্য সুলতান তার একান্ত বাধ্যগত ও অনুগত সিরিয়ার সশস্ত্র দলগুলোকে সফলভাবে আসাদ বাহিনীর সাথে যুদ্ধ থেকে বিরত রেখেছেন ! আর এই সুযোগটিই পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে আসাদ বাহিনী এখন হামার বিরাট অংশ দখল করে ইদলিবেরও কিছু অংশ দখলে নিয়েছে ! ইন্নালিল্লাহ !

সিরিয়ার অবশিষ্ট দলগুলো এখন আসাদকে অপসারণের চিন্তা থেকে সরে গিয়ে যামানার সুলতানের হুকুমে আসাদের সাথে শান্তি আলোচনায় লিপ্ত হয়েছে। তারা যুদ্ধ করে আসাদকে সরানোর ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেছে।

এর আগে যখন পূর্ব আলেপ্পো অবরুদ্ধ ছিলো তখন যামানার সুলতান সেসব দলকে দিয়ে সিরিয়ার উত্তরে আইএস বিরোধী অভিযানে ‘ইউফ্রেটিস শিল্ড’ নামে একটি অপারেশনে যুক্ত করে দিয়ে আসাদের জন্য আলেপ্পো দখলের পথকে সুগম করে দেন !

পূর্ব আলেপ্পোর পতনের সময় শেষ মূহুর্তে সম্মিলিত সশস্ত্র দলগুলোর কমান্ডার নিযুক্ত হয়েছিলেন শাইখ আবুল আবদ (পূর্বে আহরারের সাথে ছিলেন। আলেপ্পো পতনের পর তাহরীর আশ-শামের সাথে যুক্ত হয়েছেন।)। তিনি সাংবাদিক বিলাল আব্দুল কারীম ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎকারে স্পষ্টভাষায় আলেপ্পো পতনের কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছিলেন, বেশিরভাগ গ্রুপ আলেপ্পোর জন্য যুদ্ধ না করে যামানার সুলতানের অধীনে খারিজী আইএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য আগ্রহ পোষণ করে এবং তারা যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন পরিত্যাগ করে। এভাবে একদিনের মধ্যে আলেপ্পোর বেশিরভাগ এলাকা নিমিষেই আসাদের হাতে চলে যায়।

এখন ঠিক আগের মতোই সেই ‘ইউফ্রেটিস শিল্ড’ নামে কমিউনিস্ট YPG কুর্দি মুরতাদদের বিরুদ্ধে অপারেশনে লাগিয়ে দিয়ে আসাদের জন্য হামা ও ইদলিব দখলের পথ সহজ করে দিয়েছেন ! যামানার সুলতানের কী চমৎকার পরিকল্পনা !

আসাদের বাহিনী যখন সমস্ত শক্তি নিয়ে হামা এবং ইদলিবের দিকে আসছে তখন এসব দলের অল্প কিছু সদস্য কিছুটা লোক দেখানোর জন্য আসাদের মোকাবেলায় হাজির হয়। কিন্তু ইতোমধ্যে যামানার সুলতান কমিউনিস্ট YPG কুর্দি মুরতাদদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করায় গুটি কয়েক ব্যতীত তাদের প্রায় সকলেই তাতে অংশ নেওয়ার জন্য চলে গেছে।

যামানার সুলতানের আফরিন অভিযানে সিরিয়ার সশস্ত্র দলগুলোর কমপক্ষে ২৫ হাজার যোদ্ধা অংশ নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আচ্ছা, চিন্তা করুন ! সিরিয়ার জনগণ কী আইএস এবং কুর্দিদের পরাজয়ের জন্য লড়াই শুরু করেছিলো, নাকি আসাদের পতনের জন্য লড়াই শুরু করেছিলো ? একটি শিশুও এর সঠিক উত্তর দিতে ভুল করবে না।

কিন্তু যামানার সুলতান আজ সেসব দলকে তুরষ্কের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করছেন এবং সিরিয়া পূর্বের মতোই আসাদের হাতে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা পাকাপোক্ত করছেন।

অথচ তিনি নাকি সিরিয়ার জন্য কত কী করেছেন ! করছেন !

হ্যাঁ, করছেন ! নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সিরিয়ার সীমান্তবর্তী কিছু এলাকা নিজের দখলে নিয়ে আসাদের সংবিধানের মানবরচিত কুফুরী আইন চালু করেছেন।

তুরষ্কপন্থী আহরার আশ-শামের পরামর্শদাতা ও তাদের শূরার সদস্য এবং স্কলার নাজিব আহমাদ তার নিজের টেলিগ্রামে এরদোগানের বাহিনী নিয়ন্ত্রিত উত্তর সিরিয়ার এলাকায় আসাদের আইন চালুর লিখিত ডকুমেন্ট পেশ করে আফসোস ও মায়াকান্না দেখিয়েছে ! অথচ এই আহরার যামানার সুলতানের অধীনে ‘ইউফ্রেটিস শিল্ড’ এর সাথে যুক্ত !

সর্বশেষ তার অনুগত গোলামদের সহায়তায় ক্রুসেডার রাশিয়ার পাইলটের লাশকে রাশিয়াকে হাদিয়া দিয়ে শামের মুসলিমদের ব্যাপক কল্যাণ সাধন করেছেন ! কুফফার রাশিয়ার যুদ্ধবিমানটি ভূপাতিত করে তাহরীর আশ-শাম। কিন্তু রাশিয়ান পাইলট মাটিতে পতিত হলে তাকে বন্দী করা নিয়ে ব্যাপক বাদানুবাদ দেখা ঘটনাস্থলে তাহরীর আশ-শামের কিছু সমর্থক এবং সিরিয়ার মুসলিম ব্রাদারহুডের সামরিক শাখা ও এরদোগানের একান্ত অনুগত দল ফাইলাক্বুশ-শামের কতিপয় যোদ্ধার মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখা দেয়। পরে রাশিয়ান পাইলটের লাশটি তুর্কিস্তানের মুজাহিদদের হাতে তুলে দেওয়া ওয়াদা দেয় সুলতান এরদোগানের অনুগত দল।

এদিকে রাশিয়া তার মিত্র যামানার সুলতান এরদোগানকে অনুরোধ জানায় উক্ত পাইলটের লাশ রাশিয়াকে হাদিয়া দেওয়ার জন্য। ফলে মডারেইট মুসলিমদের অভিভাবক ও যামানার সুলতান এরদোগান তার গোলামদের থেকে নিয়ে উক্ত পাইলটের লাশ রাশিয়াকে বিনামূল্যে হাদিয়া দেয়।

তাহরীর আশ-শাম যখন বারবার লাশ দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল, এরই মধ্যে রাশিয়ার মিডিয়ায় রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেখালো যে, তারা এরদোগানের বদান্যতায় ইতোমধ্যে পাইলটের লাশটি পেয়ে গেছে !

যেখানে সিরিয়ার হাজারো-লাখো মুসলিম ভাই-বোন আসাদের হাতে বন্দী। সেখানে এই গুরুত্বপূর্ণ লাশের বিনিময়ে একজন বন্দীকেও মুক্তি দেওয়া হয়নি। অথচ এর মাধ্যমে হয়তো বহু বন্দী ভাই-বোনকে মুক্ত করা যেতো।

আর খারিজী আইএসের কথা কী বলবো ! আল্লাহর রাসূল সাঃ এদেরকে সৃষ্টির নিকৃষ্ট বলেছেন, এথেকেই তাদের অবস্থা ও পরিণতি স্পষ্ট হয়ে উঠে। এরা হামায় মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে প্রায় ২০ কিঃ মিঃ দূরে আসাদের এলাকার অভ্যন্তরে একটি এলাকায় ছিলো। কিন্তু যেহেতু হাদিসে বর্ণিত তাদের বৈশিষ্ট হচ্ছে কুফফারদের ছেড়ে দিয়ে মুসলিমদেরকে হত্যা করবে, তাই তারা আসাদ বাহিনীর বদান্যতায় আসাদ নিয়ন্ত্রিত এই প্রায় ২০ কিঃ মিঃ এলাকা রাতের অন্ধকারে অতিক্রম করে নিরাপদে মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় হামলা করে বেশ কয়েকটি এলাকা দখল করে নেয়।

কী চমৎকার খেলা লক্ষ্য করুন ! আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে পরিহার করে আসাদ নিয়ন্ত্রিত এই প্রায় ২০ কিঃ মিঃ এলাকা অতিক্রম করে তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তাদের নব্য শরীয়ত কায়েম করতে আসে।

এবার আইএস ও আসাদ বাহিনী যুগপৎভাবে পাশাপাশি যুদ্ধ করে মুজাহিদদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা দখলে নিতে থাকে। এসময় আইএস কার্যত আসাদের বিরুদ্ধে কোনো লড়াই করেনি,যদিও তারা দাবি করতো।

এখন পুরো এলাকা দখলে নিয়ে আসাদ বাহিনী পুনরায় আইএসকে ঘিরে ফেলেছে ! হয়তো আবারও রাতের আধারে ইদলিবে আবু যুহুরের পূর্ব এলাকায় আসতে দেওয়া হবে, যাতে আসাদ বাহিনীর জন্য মুজাহিদদের এলাকাগুলো দখল অনেক সহজ হয়ে যায়। একদিকে আসাদ ও রাশিয়ার নির্বিচার বিমান হামলা অন্যদিকে খারিজী আইএসের ধ্বংসাত্মক ফিদায়ী হামলার মাধ্যমে এভাবেই হামার বিরাট অংশ আসাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়।

অতঃপর যখন মুজাহিদদের এলাকা দখল সমাপ্ত হবে, অবশিষ্ট খারিজী আইএসকে অন্যান্য এলাকার মতো হয়তোবা এখানেও নিশ্চিহ্ন করা হবে !

কীভাবে খারিজীরা আসাদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছে তা নিয়ে ইতোপূর্বে সংশয় থাকলেও হামার ঘটনা আকলবান প্রত্যেক মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে।

যামানার সুলতানের ‘ইউফ্রেটিস শিল্ড’ অভিযানের বদান্যতা এবং আইএসের এলাকা দখলের মাধ্যমে আসাদ ইতোমধ্যে পুরো সিরিয়ার প্রায় ৫৫% এলাকা দখলে নিয়েছে। যেখানে আসাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা একসময় ১৫% এর কম ছিলো।

এতোসব দুঃসংবাদ ও হতাশার মাঝেও মুমিনদের জন্য আশার আলো আছে। আল-কায়েদার মানহাজের সাথে যুক্ত মুজাহিদরা আবারো ঐক্যবদ্ধভাবে বিভিন্ন ফ্রন্টে লড়াই শুরু করেছেন। চীনের দখলদারিত্বের অধীন পূর্ব তুর্কিস্তানের মুজাহিদরা ইদলিবের বিভিন্ন ফ্রন্টে কুফফার আসাদ বাহিনীর বিরুদ্ধে দুর্বার লড়াই চালিয়ে তাদেরকে কচুকাটা করে যাচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ। তুর্কিস্তানের জিহাদী সংগঠন ‘আল-হিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’র মুজাহিদদের একটি বড় দল শামে জিহাদ করছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ‘আল-হিযবুল ইসলামী আত-তুর্কিস্তানী’ ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান তথা তালিবানদের হাতে বাই’আতপ্রাপ্ত একটি তানযীম।

আল-কায়েদার সম্মানিত আমীর শাইখ আইমান আল-যাওয়াহিরী হাফিঃ সিরিয়ার মুজাহিদদেরকে গেরিলা লড়াইয়ের পথ অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন। আল্লাহ তা’আলা চাইলে পরাজিত মানসিকতা লালনকারী দলগুলোর লড়াই পরিত্যাগ ও কুফফারদের সাথে আপোষরফার প্রেক্ষিতে শামে হয়তো আফগানের মতো এক নতুন তালিবানের উদ্ভব হতে পারে। মহান আল্লাহ তা’আলার ইরশাদ অনুযায়ী জিহাদ যখন দীর্ঘস্থায়ী ও কঠিন হয়, তখন মুনাফিক্বরা সেই জিহাদে টিকতে পারে না এবং ছিটকে পড়ে। যেমনটি উহুদের যুদ্ধে হয়েছিলো।

শামের জিহাদের ময়দানে অনেক ভেজাল যুক্ত রয়েছে, হয়তো আল্লাহ তা’আলা বিভিন্ন ফিতনার মাধ্যমে সেসব ভেজালকে দূর করে জিহাদের সারিকে পরিচ্ছন্ন করছেন, আল্লাহু আ’লাম।

শামের ময়দানেও হয়তো মুনাফিক্বদের জিহাদ থেকে পলায়নের মাধ্যমে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে ইনশাআল্লাহ্‌।

পরিশেষে মনে করিয়ে দিতে চাই, শামের যে জিহাদ শুরু তা অব্যাহতভাবে চলতেই থাকবে ইনশাআল্লাহ্‌। আর জিহাদ থাকাই মুসলিমদের জন্য কল্যাণের ইঙ্গিত বহন করে। কারণ জিহাদের মাধ্যমেই এই উম্মাহর মুক্তি আসবে। কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করা কিংবা ছেড়ে দেওয়ার উপর ইসলামের জয়-পরাজয় নির্ভর করে না। যদিও বাতিলপন্থী খারিজী আইএস কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে সেটিকে হক্বের মানদণ্ড বানিয়েছিল। ঘোষণা করেছিল তাদের দলীয় খিলাফত। কিন্তু আজ ! প্রায় নিঃশেষের পথে ! বিংশ শতাব্দীতে শুরু হওয়া এই গ্লোবাল জিহাদ কোনো নির্দিষ্ট এলাকার কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ কিংবা পরিত্যাগের উপর নির্ভর করে না। বরং হক্ব মানহাজের উপর অটল থেকে আত-ত্বয়িফাতুল মানসূরার বৈশিষ্ট্য জিহাদের পথে অবিচল থাকা।

হতাশাগ্রস্তদেরকে আফগানের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি ! আমেরিকা যখন আফগানিস্তানে প্রবেশ করে, তখন তালিবানরা শহরগুলো ছেড়ে এক দীর্ঘস্থায়ী লড়াইয়ের প্রস্তুতি নেয়। তখন বহু পরাজিত মানসিকতাসম্পন্ন হতাশাগ্রস্তকে বলতে শুনেছি, কই ! তালিবানরাওতো টিকতে পারল না ! কিন্তু সেসব লোকেরাই এখন আবার তালিবান মুজাহিদদের ব্যাপক বিজয় দেখে তালিবানদের পক্ষে কথা বলছে ! তালিবানদেরকে বাহবা দিচ্ছে !

সুবহানাল্লাহ ! এসব লোক অনেকটা কচুরিপানার মতো ! স্রোতের অনুকূলে চলে ! নিজস্ব কোনো শেকড় নেই ! কিন্তু সত্যিকারের মুমিন ও মুজাহিদরা দুনিয়ার সমস্ত কুফর ও নিফাক্বের মোকাবেলার পাহাড়ের মতো অটল-অবিচল থাকেন। তারা পরিবেশ-পরিস্থিতি আর স্রোতের অনুকূলে চলেন না। বরং দ্বীনের অনুকূলে চলেন, যদিও তা গোটা দুনিয়ার বিরুদ্ধে হয়। এটিই মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্যপ্রাপ্তির পূর্বশর্ত। আর একারণেই সারা দুনিয়াজুড়ে মুজাহিদরা কুফফার শক্তিকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছেন আলহামদুলিল্লাহ্‌।

শামের জিহাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও গ্লোবাল জিহাদের সম্মানিত আলিম ডঃ শাইখ সামি আল-উরাইদী হাফিঃ (আল-কায়েদার সাবেক শাখা জাবহাতুন নুসরার প্রধান মুফতি) একটি অসাধারণ কথা দিয়ে শেষ করছি, তিনি একটি বক্তব্যে বলেছেন, “জিহাদের যে পতাকা আবু আব্দুল্লাহ উসামা বিন লাদেন রাহঃ এর মাধ্যমে উত্তোলিত হয়েছে, ইনশাআল্লাহ্‌ জিহাদের সেই পতাকা এক হাত থেকে অন্য হাত বদলে একদিন মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল-মাহদী আঃ এর হাতে গিয়ে পৌছবে বি-ইযনিল্লাহ।”

বিষয়: বিবিধ

১৪৮৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

384803
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ রাত ০১:০১
সন্ধাতারা লিখেছেন : Inshallah

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File