হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা বিশ্লেষণ ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা ঃ পর্ব - ৬
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ শাব্বির হোসাইন ২৬ এপ্রিল, ২০১৪, ১২:০১:০২ রাত
হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা
গত ৬ এপ্রিল ২০১৩ ঢাকা অভিমুখে লংমার্চ ও পরে মতিঝিলের মহা সমাবেশ থেকে মাওলানা আল্লামা শাহ আহমদ শফী ইসলাম এবং ইসলামী আকিদা রক্ষার তাগিদে নিম্নলিখিত ১৩ দফা ঘোষণা করলেন।
১। সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতিতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস পূণঃস্থাপন করতে হবে।
২। আল্লাহ, রাসুল (সঃ) ও ইসলাম ধর্মের অবমাননা রোধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করতে হবে।
৩। তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের সংশ্লিষ্ট কতিপয় ব্লগার, নাস্তিক-মুরতাদ ও ইসলাম বিদ্বেষীদের সকল অপতৎপরতা ও প্রচারণা বন্ধ করতে হবে এবং যে সকল নাস্তিক-মুরতাদ ও ইসলাম বিদ্বেষী ব্যক্তি-সংগঠন যে কোন প্রকার গণমাধ্যমে রাসুল (সঃ), ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করতঃ দেশের ৯০ ভাগ মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হেনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে, তাদেরকে অনতিবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারী জাতির সার্বিক উন্নতির বিকল্প নেই। এ লক্ষ্যে তাদের নিরাপদ পরিবেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মস্থল, সম্মানজনক জীবিকা এবং কর্মজীবি নারীদের নায্য পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘরে বাহিরে এবং কর্মস্থলে নারীদের ইজ্জত, আব্রু ও যৌন হয়রানী থেকে বেঁচে থাকার সহায়ক হিসেবে পোশাক ও বেশভূষায় শালীনতা প্রকাশ ও হিজাব পালনে উদ্বুদ্ধকরণসহ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একই লক্ষ্যে নারী পুরুষের সব ধরণের বেহায়াপনা, অনাচার, ব্যভিচার, প্রকাশ্যে অবাধ ও অশালীন মেলামেশা, নারী নির্যাতন, যৌন হয়রানী, নারীর বিরুদ্ধে সব ধরণের সহিংসতা ও যৌতুক প্রথাসহ যাবতীয় নারী নির্যাতনমূলক ব্যবস্থা কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
(চলবে)
বিষয়: বিবিধ
১১৩৯ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমি শুধুমাত্র আমার জ্ঞান ও মেধা থেকে যতটুকু সম্ভব নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছি।
মন্তব্য করতে লগইন করুন