"আল্লাহ দেখছেন,ফেরেস্তাদ্বয় লিখছেন ও কর্মের রেকর্ড হাতে দিবেন"।

লিখেছেন লিখেছেন সত্যলিখন ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:২৮:৪১ সকাল



চেহারার অপূর্ব সৌন্দর্য ,তেমনি দেহের সুঠাম গঠন ,আবার সেই রকম রংঠং করা বন্ধু/বান্ধবের বাহার ছিল , নফসের উত্তাল মাতাল করা তরঙ্গের খায়েস ছিল,বাধা দেবার কেউ থাকলেও নোকেয়ার ভাব দেখিয়ে কলেজ ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট লাইফে অনেক কিছু করতে পারতেন কিন্তু তা করেন নাই । কারন আপনার বিবেক মনুষ্যত্ব বার বার আপনাকে বলছে ,

" তুমি আজ যা করছ তোমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ দেখছেন,

তোমার প্রতি মুহুর্তের কার্য্যাবলী ফেরেস্তাদ্বয় লিখেই যাচ্ছেন,

কাল হাশরে মিজানে তোমার কর্মের রেকর্ড হাতে দিবেন"।


আপনার জীবনের কঠিন মুহুর্তে আপনজন কাউকে পাশে না পেলে ও আপনি হতাশ নিরাশ হবেন না । কাউকে না পেলেও রহমানুর রাহিম আল্লাহ সবরের মাধ্যমে সাথেই পাবেন ।ইনশাল্লাহ ।

"হে ঈমানদারগণ!সবর ও নামাযের দ্বারা সাহায্য গ্রহণ করো, আল্লাহ‌ সবরকারীদের সাথে আছেন।"

সুরা বাকারা ১৫৩


উম্মাতকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও বিধান দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সবার আগে যে কথাটির প্রতি এখানে দৃষ্টি আর্কষণ করা হচ্ছে সেটা হচ্ছে এই যে, আমাদের জন্য যে বিছানা পেতে দেয়া হয়েছে সেটা কোন ফুলের বিছানা নয়। একটি বিরাট, মহান ও বিপদ সংকুল কাজের বোঝা তোমাদের মাথায় চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এই বোঝা মাথায় ওঠাবার সাথে সাথেই আমাদের ওপর চতুর্দিক থেকে বিপদ-আপদ ঝাঁপিয়ে পড়তে থাকবে। কঠিন পরীক্ষার মধ্যে তোমাদের ঠেলে দেয়া হবে। অগণিত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

সবর, দৃঢ়তা, অবিচলতা ও দ্বিধাহীন সংকল্পের মাধ্যমে সমস্ত বিপদ-আপদের মোকাবিলা করে যখন তোমরা আল্লাহর পথে এগিয় যেতে থাকবে তখনই তোমাদের ওপর বর্ষিত হবে তাঁর অনুগ্রহরাশি।

এই কঠিন দায়িত্বের বোঝা বহন করার জন্য আমাদের দু’টো আভ্যন্তরীন শক্তির প্রয়োজন। একটি হচ্ছে, নিজের মধ্যে সবর, ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতার শক্তির লালন করতে হবে। আর দ্বিতীয়ত, নামায পড়ার মাধ্যমে নিজেকে শক্তিশালী করতে হবে।আর আসলে এটিই হচ্ছে সমস্ত সাফল্যের চাবিকাঠি। এর সহায়তা ছাড়া মানুষের পক্ষে কোন লক্ষ্য অর্জনে সফলতা লাভ সম্ভব নয়।

"হে মুহাম্মাদ! সবর অবলম্বন করো--- আর তোমার এ সবর আল্লাহরই সুযোগ দানের ফলমাত্র--- এদের কার্যকলাপে দুঃখ করো না এবং এদের চক্রান্তের কারণে মনঃক্ষুণ্ণ হয়ো না।" সুরা নাহল ১২৭

এ দুনিয়ায় আল্লাহ ও আল্লাহর নবীর ওপর ঈমান আনার কারণে কাফেরদের মুনাফিক ফাসেক দের নানান ধরনের ঠাট্টা-বিদ্রুপের শিকার হচ্ছি আবার কিয়ামতের দিনও যেন তাদের সামনে আমাদের অপমান ও লাঞ্ছনা পোহাতে না হয়। কাফেরেরা যেন সেদিন আমাদের প্রতি এ ধরনের বিদ্রুপবাণ নিক্ষেপ না করে যে, ঈমান এনেও আমাদের কোন ভাল /লাভবান হলাম না। এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার যেন আমাদের আখিরাতে না হতে হয়, এ আশাই আমরা আপনি রহমানুর রাহিম ও গাফুরুর রাহিম নামের গুনের উপর আশা ভরসা পোষণ করি।

আল্লাহ আপনি প্রতিশ্রুতিসমূহ পূর্ণ করবেন কিনা এ ব্যাপারে আমার কোন সন্দেহ নেই। তবে সেই প্রতিশ্রুতি আমার ওপরও কার্যকর হবে কিনা, এ ব্যাপারে আমার সন্দেহ রয়েছে।কারন আমি বড় গুনাগার গুনাহ আমার বেশুমার । তাই আমি হে আল্লাহর আপনার কাছে দোয়া চাচ্ছি যে, এ প্রতিশ্রুতিগুলো আমার গুনাহ মাফ করে আমার জন্য্ও কার্যকর করা হোক এবং আমার ক্ষেত্রে এ প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করা হোক

তোমরা আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাও কঠিন পরীক্ষা, চরম দুর্ভাগ্য, ভাগ্যের খারাপ দিক ও শত্রুদের আনন্দিত হওয়া থেকে।” (বুখারী ও মুসলিম)

হে আল্লাহ আমি াচরনের মর্মপীড়ায়, বিপদে বালা মুসিবতে সকল অবস্থ্যায় বিশ্বাস করি আপনি আমার সাথে আছেন ।এই সবও আমার প্রভুর দেওয়া নিয়ামত।হে আমাদের প্রভু! আমরা যেসব গোনাহ করছি তা মাফ করে দাও ৷

আমাদের মধ্যে যেসব অসৎবৃত্তি আছে সেগুলো আমাদের থেকে দূর করে দাও এবং নেক লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করো৷

হে আমাদের রব! তোমরা রসূলদের মাধ্যেমে তুমি যেসব ওয়াদা করেছো আমাদের সাথে, সেগুলো পূর্ণ করো এবং কিয়ামতের দিন আমাদের লাঞ্ছনার গর্তে ফেলে দিয়ো না৷ নিসন্দেহে তুমি ওয়াদা খেলাপকারী নও৷ সুরা আল ইমরান

বিষয়: বিবিধ

১৭৫৬ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

380596
১১ ডিসেম্বর ২০১৬ দুপুর ০২:০৯
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! আপনার দোয়ার সাথে আমিন।
380602
১১ ডিসেম্বর ২০১৬ সন্ধ্যা ০৬:২১
আকবার১ লিখেছেন :

চমৎকার লেখা।
380607
১২ ডিসেম্বর ২০১৬ রাত ০১:২০
তবুওআশাবা্দী লিখেছেন : ভালো লাগলো খুব| অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য|

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File