লিংক হএ ফ্রান্স..!!

লিখেছেন লিখেছেন MD Waliullah Kawsar ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১১:৪৪:৩৯ সকাল

ফাহমিদা বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে। তার একটি ছোট ভাই আছে তার নাম ফারাবী। বাবা মায়ের দুটি সন্তান, আর দুজনের নামের মিল রেখে বাবা মা। তারা খুব আদরের ছিলো। কখনোই কোন চাহিদা অপূরণ রাখেনি। যেভাবে ইচ্ছে চলতে চেয়েছে চলতে দিয়েছিলো। যেহেতু বাবা মায়ের আদরের তারা।

ফাহমিদা ও ফারাবীকে তার বাবা একটি উন্নত মানের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করালো।

বর্তমান সময় এসে গেলো মডার্ণ যুগ মানে ডিজিটাল যুগ। সময়ের সাথে সাথে যেমন যুগ চেইঞ্জ হলো তেমনি তারাও।

ফাহমিদা যখন ৮ম শ্রেণীতে পড়তো তখন একটা স্মার্ট ছেলের সাথে রিলেশনে (প্রেমে) জড়িয়ে পড়লো। এভাবে একটি বছর পার হলো। তখন ফাহমিদা ৯ম শ্রেণীতে উঠলো তখন পড়া লেখারও আগের চেয়ে হাল্কা চাপ বাড়লো। তাই বছরের শুরুতেই অনেক ঘুরাঘুরি হলো।

জানুয়ারি মাস এভাবেই বিভিন্ন সফরে পরিবারের সাথে কাটিয়ে দিলো। বাবা মাও তার কোন কথার অবাধ্য হয়নি।

যেখানে ঘুরতে চেয়েছে বাবা মা সেখানে ঘুরিয়েছে। আর ফারাবী তখন ৮ম শ্রেণীতে উঠেছে সামনে পরিক্ষা সব মিলিয়ে তারা সবাই ঘুরলো অনেক ঐতিহাসিক জায়গাতে।

আসলো ফেব্রুয়ারি মাস, ফেব্রুয়ারি মাসে বিভিন্ন দিবস উৎযাপন হয়ে থাকে মেয়েও তার বাহিরে ছিলো না। বাবা মায়ের কাছে টাকা চাইতো তারাও দিতো আর সে খরচ করতো।

দিনটি ছিলো ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। অন্যদিনের ন্যায় আজও ফাহমিদা অনেক টাকা নিয়ে বাসা থেকে বাহির হয়েছে তার বয়ফ্রেন্ড (প্রেমিক) এর সাথে ঘুরবে বলে। বয়ফ্রেন্ড ভালোবাসা দিবসে আবদার করে বসলো তারা সেক্স করবে আর ফাহমিদাও রাজি হলো।

ছেলে দোকান থেকে কনডম নিয়ে একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে গেলো এবং কিছু সময়ের জন্য রুম ভাড়া নিয়ে তারা সেক্সে জড়িয়ে পড়লো। সব শেষে সন্ধ্যার কাছাকাছি বাসায় ফিরলো ফাহমিদা। বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলো এর পর গোসল করে ঘুমিয়ে পড়লো।

ফাহমিদার ভাই ফারাবী সে ছিলো ফেইসবুকে ভালোই এক্টিভ। হঠাৎ ফেইসবুকে পোস্ট শুরু হলো ১০ মিনিট ১২ সেকেন্ড এর সেক্স ভিডিও বাহির হয়েছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে। লিংক লাগলে ইনবক্স। সবাই কমেন্ট করছে লিংক হপে ফ্রান্স..?? ফারাবীও তাই কমেন্ট করলো, অবশেষে ফারাবী লিংক কালেক্ট করলো। এবং সে লিংকে গিয়ে ভিডিওটি দেখতে লাগলো, আর সে যখন দেখলো ভিডিওতে সেক্সে জড়ানো মেয়েটি অন্য কেউ নয় নিজেরই বোন ফাহমিদা তখন ফারাবী ঘুরে পড়ে গেলো। বাবা মা এসে ফারাবীর জ্ঞান ফিরালো এবং জ্ঞান হারানোর কারণ জানতে চাইলে ফারাবী সব খুলে বলে। সব শুনে বাবা মায়ের মাথায় যেনো আসমান ভেঙ্গে পড়লো। তখনো ফাহমিদা ঘুমাচ্ছিলো। মেয়ে শুনলে কিছু একটা করে পেলতে পারে তাই মেয়েকে কিছু না শুনিয়ে খাওয়ারের সাথে ঘুমের ঔষধ দিয়ে মেয়েকে ঘুমিয়ে রাখলো।

আর ছোট ভাই ফারাবী বুঝে উঠতে পারছিলো না কি করবে। অনেক ভেবে ফাহমিদার বয়ফ্রেন্ড (প্রেমিক) কে কল দিলো বাট সে কল ধরছিলো না। ততক্ষণে ফাহমিদা ঘুম থেকে উঠে সব জেনে যায় ও আত্মহত্যার চেষ্টা করে কিন্তু বাবা মা ও ভাইয়ের জন্য পারেনি।

আর এই দিক দিয়ে ফেইসবুকে মেয়েকে নিয়ে কত পোস্ট আর কত বাজে মন্তব্য হলো। মেয়েকে কলঙ্কিত করা হলো।

অথচ ছেলে এর ফাঁক দিয়ে বেঁছে গেলো কেউ তাদ দোষই দিলো না।

বর্তমান সমাজ মডার্ণ হয়ে কেড়ে নিচ্ছে হাজারো বোনের ইজ্জত। অথচ ছেলেটি তাকে এই কাজে বাধ্য করলো আর ছেলের কোন দোষ হলো না।

ভিডিওটি ভাইরাল করার আগে আমরা একবারের জন্যেও ভাবলাম না আমারও তো বোন আছে যদি তার সাথে এমন কিছু হয়ে যায় তাহলে কি হবে!!! আমার বোনের কি অবস্থা হবে!!! আমার মা বাবার কি অবস্থা হবে!!!।

যার বোন আর যার সন্তান সেই তো বুঝে এসবের কষ্ট কি হতে পারে। কি হতে পারে লজ্জা!!!

ফারাবী ছিলো তাদের দলেরই একজন, লিংক হএ ফ্রান্স!!!

সে বুঝতে পারলো আজ আমার বোনের ভিডিও ভাইরাল হওয়াতে আমার আর আমার বোন ও বাবা মায়ের কি অবস্থা হয়েছিলো। সে অনুভব করলো ও অনুতপ্ত হয়ে ফিরে আসলো পর্ণ জগত থেকে।

এই ভাবে ঘুমন্ত সমাজ ও বিবেককে জাগিয়ে তুলা উচিৎ।

বোন তো আমারো আছে।

বিষয়: সাহিত্য

৯৫১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File