বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার বানিজ্য সম্পর্কোন্নয়নে নতুন দিগন্তের উন্মোচন

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ০৩:৪১:২৩ দুপুর



বর্তমান যুগ বিশ্বায়নের যুগ। এ যুগে কেবল প্রতিবেশ দেশ নয়, বিশ্বের সকল দেশের সঙ্গে যোগাযোগ, আদান-প্রদানের মাধ্যমে সখ্য গড়ে তুলতে হয়। এটা করতে হয় সহযোগিতার মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ করার স্বার্থে। বর্তমান সরকার দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিদেশের নেতৃবৃন্দকেও বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। চলমান এ ধারা দেশের উন্নয়নে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী কম্বোডিয়া সফরে গিয়েছিলেন। কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীও দিন কয়েক আগে বাংলাদেশ সফর করে গেলেন। কম্বোডিয়া এশিয়ার দেশ হলেও এত দিন সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো সম্পর্ক ছিল না। এবার সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য নিয়ে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল রাজধানী নমপেনের সোখা হোটেলে দিনব্যাপী এ কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশর পণ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশীয় দেশসমূহ নিয়ে গড়ে ওঠা সার্ক কিংবা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো নিয়ে গড়ে ওঠা আসিয়ান আঞ্চলিক সহযোগিতাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ারই নিদর্শন। স্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সহযোগিতা জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ দৃঢ় সম্পর্ক স্থাপিত হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর সঙ্গে নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করার সুযোগ সৃষ্টি হবে সন্দেহ নেই। তাই বাংলাদেশের লক্ষ্য হচ্ছে কম্বোডিয়ার সঙ্গে সবার আগে প্রয়োজন রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়া। আর রাজনৈতিক সম্পর্ক হলে অন্য যে কোনো প্রয়োজন সহজে মেটানো যায়। মূলত থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের ট্রেড শো আয়োজনের অভিজ্ঞতা থেকেই কম্বোডিয়ায় এ কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। থাইল্যান্ডে ট্রেড শো আয়োজনের মধ্য দিয়ে সেখানে প্রায় ১৩ শতাংশ বাণিজ্য বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, কম্বোডিয়ায়ও এ ধরনের নতুন যুগের সূচনা হবে। বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির নানান সুযোগ আছে। উভয় দেশের মধ্যে পর্যটন, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এমন কি বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে এই কনফারেন্স বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া দুটো দেশই উন্নয়নশীল দেশ। তাই দুটো দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদার করা গেলে দুটো দেশই লাভবান হবে। আমাদের বিবেচনায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কম্বোডিয়া সফর এবং কম্বোডীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে।

বিষয়: বিবিধ

৮০৮ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

381490
২৫ জানুয়ারি ২০১৭ রাত ০৮:৫০
হতভাগা লিখেছেন : কম্বোডিয়া , লাওস ,ভিয়েতনাম - এদের মত পুঁচকে দেশগুলোর সাথে না গিয়ে বরং উত্তর-পূর্ব ভারতের তথা সেভেন সিস্টার্সদের বাজার দখল করা যায় কি না সেটা নিয়ে কাজ করা উচিত । শুনেছি সেখানে নাকি বাংলাদেশী কসমেটিক্সের হেব্বি ডিমান্ড।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File