দেশের উন্নয়নে বিদেশী অর্থায়ন

লিখেছেন লিখেছেন ইগলের চোখ ০৬ নভেম্বর, ২০১৬, ০৪:০৭:২৬ বিকাল



## চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে একটি টানেল তৈরির প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে চীন। এছাড়া একটি সার কারখানা, ন্যাশনাল ডাটা সেন্টার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট নামে একটি গবেষণা কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে চীনা অর্থ সাহায্যে। চীন বাংলাদেশের উপকূলে গভীর সমুদ্রে একটি বন্দর নির্মাণেও আগ্রহী। চীনের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাদের ১৩টি চুক্তি হয়েছে। এই ১৩টি চুক্তিতে প্রায় এক হাজার তিন শ’ ষাট কোটি ডলার ব্যবসা এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে।

## দ্রুত আসছে জাপানের বিনিয়োগ। সবকিছু ঠিক থাকলে জাপানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হবে বাংলাদেশে। বিগ-বি ইনিশিয়েটিভের আওতায় বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে এ শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠবে। এক্ষেত্রে জাপানের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। চলতি অর্থবছরের মধ্যে যাতে জাপানের প্রতিশ্রুত বিনিয়োগ বাংলাদেশে আসতে পারে সে লক্ষ্যে মনিটরিং করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জাপানী শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য পাঁচটি ইপিজেডে ৪০টি শিল্প প্লট ও ২টি কারখানা ভবন সংরক্ষিত করা হয়েছে। এছাড়া জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে যেসব আলোচনা ও চুক্তি, সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, তা বাস্তবায়নে ৩১ দফা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় জাপানের সঙ্গে ৭২০ কোটি ডলারের যে চুক্তি হয়েছে, তা বাস্তবায়নেও সরকারের পক্ষ থেকে কাজ করা হচ্ছে। দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে জরুরী বৈঠক আহ্বান করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বাংলাদেশকে জাপান বড় ধরনের ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে এ ঋণের অর্থে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। এর মধ্যে আছে গঙ্গা ব্যারাজ, যমুনা নদীর নিচে টানেল, যমুনায় বঙ্গবন্ধু সেতুর মতো শুধু রেলের জন্য আরেকটি সেতু, বহুমুখী ঢাকা ইস্টার্ন বাইপাস ও ঢাকার চারপাশে থাকা চার নদীর জীববৈচিত্র্য ফিরিয়ে আনার মতো বৃহৎ অর্থায়নের প্রকল্প। এ প্রকল্পগুলোই বাছাই, সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও তদারকির জন্য যৌথ কাঠামো চেয়েছে জাপান। একই সঙ্গে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে দেশের সবচেয়ে বড় ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প ও রাজধানীতে মেট্রোরেল প্রকল্পেও অর্থায়ন করছে জাপান।

## বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব। ভারত-চীন-জাপানের পর বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে এবার মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ। বিনিয়োগ, সংস্কৃতি ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতার বিষয়ে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উৎপাদনমুখী শিল্প ও অবকাঠামো খাত থেকে রাজস্ব আয় বাড়াতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটি। আর এক্ষেত্রে সৌদি আরবের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের নাম। বিদ্যুত-গ্যাস, ঢাকা-চট্টগ্রাম সুপার হাইওয়ে, মংলা ও পায়রা পোর্ট উন্নয়নসহ এরকম বড় বড় দশটি খাতে বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব। সৌদি আরবের উদ্যোক্তাদের জন্য পৃথক অর্থনৈতিক অঞ্চল দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।



বিষয়: বিবিধ

৯৩৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File