সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ইফতার পার্টির ওপর ‘বিধিনিষেধ’ আরোপের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গণ-ইফতার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রমজানের প্রথম দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির প্রধান ফটকে গণ-ইফতার কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিভিত্তিক ৬টি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই গণ-ইফতার কর্মসূচির বিরুদ্ধে একই ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতি দিতে দেখা গেছে।
এসব বিবৃতি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিবৃতিতে শুধু সংগঠনের নাম ও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম-স্বাক্ষর ছাড়া লেখার ধরন প্রায় একই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এসব বিবৃতিকে ‘কপি-পেস্ট’ বলেও অবহিত করতে দেখা গেছে।
শনিবার (১৬ মার্চ) বিবৃতি দেওয়া এসব সংগঠনগুলো হলো-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি, স্লোগান’৭১, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কুইজ সোসাইটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফোকলোর সোসাইটি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাট্য সংসদ।
একই ভাষায় ৬ সংগঠনের ভিন্ন ভিন্ন বিবৃতির ব্যাপারে সংগঠনগুলোর নেতারা কেউ কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সবাই নিজেদের জায়গা থেকেই এসব বিবৃতি দিয়েছেন বলেই জানিয়েছেন।
স্লোগান’৭১ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আশিক অমি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, প্রতিবছরই ইফতারকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু এই উৎসবমুখর পরিবেশের সুযোগ নিয়ে কিছু সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ক্যাম্পাসে অপতৎপরতা চালাতে চায়।
“কিছু নিষিদ্ধ সংগঠন তাদের গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করে। মানুষের ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে এবার যাতে তারা অন্যধরনের অপচেষ্টা চালানোর চেষ্টা করতে না পারে সে জন্যই আমাদের এই বিবৃতি।”
নাট্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাফিন উজ জামান বলেন, অনেকেই আছে যারা সুযোগ সন্ধানী। এই ইফতারের সময়টাকে তারা সাম্প্রদায়িক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। তাদেরকে রুখতেই এই বিবৃতি।
ব্যান্ড সোসাইটির সভাপতি রুদ্র প্রসাদ রায় বলেন, ইফতার মাহফিল নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। ইফতার একটি সুন্দর সংস্কৃতি। কিন্তু এটাকে ব্যবহার করে একদল নিষিদ্ধ সংগঠন ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করছে যারা ধর্মকে পুঁজি করে ব্যবসা করে।
এদের মধ্যে রুদ্র প্রসাদ রায় ঢাবির জগন্নাথ হল শাখা ছাত্রলীগের পদধারী নেতা এবং আশিক অমি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বলে জানা গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন