নভেল করোনা ভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবে টানা সাড়ে ৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা দেশের ২৫ শতাংশ প্রাথমিক স্কুল খুলে দেওয়ার প্রস্তাবে সায় দেয়নি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক স্কুল খুলতে মাঠ পর্যায়ে কর্মতাদের দেওয়া লিখিত প্রস্তাবে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মুহূর্তে আংশিক বিদ্যালয় খোলার কোনো সুযোগ নেই।
এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের কাছে মাঠ কর্মকর্তারা অন্তত ২৫ শতাংশ বিদ্যালয় খুলে দেওয়ার প্রস্তব দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম আল হোসেন গণমাধ্যমে বলেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। আংশিকভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কোনা সুযোগ নেই।
করোনাকালে বন্ধ থাকা প্রায় সব কিছুই স্বাভাবিক হচ্ছে, কিন্তু এখন্ও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রায় ৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সব প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে অভিভাবকরা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে এবং মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যরা সচিবালয় থেকে ভার্চুয়াল এই সভায় যোগ দেন।
বৈঠকের পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো। তারা যখন মনে করবে তখনই খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরুর পর গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। পরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে এবং সংক্রমণ এড়াতে ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে তা করা হয়েছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রাথমিক স্তরের সাময়িক পরীক্ষা, একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষ চূড়ান্ত পরীক্ষা, এইচএসসি ও সমমানের পাবলিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনার্স, মাস্টার্সের বিভিন্ন সেমিস্টার এবং ফাইনাল পরীক্ষাও যথাসময়ে নেওয়া যায়নি। তবে সব স্তরে অনলাইন পাঠদান চলছে। স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হয়েছে রেডিও ও টেলিভিশনে পাঠদান, অনলাইন ক্লাস।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন