যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীরা সরকার নিষিদ্ধ গাইড বই নবদূত শ্রেণিকক্ষে না আনায় ১৫ জন ছাত্রীকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে পিটিয়েছেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ধনঞ্জয় মল্লিক।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুতর আহত প্রীতি রানী রায় ও ঐশী কর্মকার নামের দুই শিক্ষার্থী অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে।
হাসপাতাল থেকে আহত দুই শিক্ষার্থী জানায়, রোববার সকালে নওয়াপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ধনঞ্জয় মল্লিক দশম শ্রেণিতে ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র বিষয়ের ক্লাস নিচ্ছিলেন। ছাত্রীরা নবদূতের গাইড বই শ্রেণিকক্ষে না আনায় এবং গাইড বইটি বাজার থেকে না কেনায় ক্লাসের ১৫ জন ছাত্রীকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে বেদমভাবে মারপিট করেন।
মারপিট করার কারণে প্রীতি রানী রায় (১৬) ও ঐশী কর্মকার (১৬) গুরুতর আহত হন। রোববার বিকালে ওই দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা তাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
হাসপাতালে উপস্থিত প্রীতি রানী রায়ের বাবা শ্রীবাস রায় ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, আমার মেয়ে স্কুলে গাইড বই না নেয়ায় শিক্ষক ধনঞ্জয় মল্লিক তাকে যেভাবে মারপিট করেছে, তাতে আমি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছি। আমি ওই শিক্ষকের উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
ঐশী কর্মকারের বাবা বিশ্বজিৎ কর্মকার বলেন, আমার মেয়ে বাসায় এসে তার হাতের দাগগুলো দেখানোর পর সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আমি উক্ত শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি করছি।
বিষয়টি সম্পর্কে নওয়াপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নূরুজ্জামান বলেন, জরুরি কাজে আমি এখন থানায় রয়েছি। শিক্ষার্থীদের পিটানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ওই শিক্ষককে ইতিমধ্যে শোকজ করা হয়েছে বলে জানান।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক ধনঞ্জয় মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন