গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি প্রফেসর খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাত জেগেছেন শিক্ষকরাও। সকালে আন্দোলন আরো বেগবান হয়েছে। ভয় উপেক্ষা করে দুর্বার আন্দোলন চলছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শতশত শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়ে আছেন। ভিসির পদত্যাগ দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন তারা। তাদের নিরাপত্তা দিতে শিক্ষকরাও আছেন সেখানে।
উল্লেখ্য, বহিষ্কার আদেশের চিঠিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ নিয়ন তাদের বিভাগের ১০৩নং ক্লাস রুমের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে ফেসবুকে লেখালেখি করে। এ লেখালেখিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। যা শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গর্হিত কাজ।
অথচ বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা এর কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রোবটিক্স প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ক্যাম্পাস। হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বন্ধের ঘোষণাটি গতকাল শনিবার সকাল নয়টায় জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ১ ঘণ্টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিলে ফুঁসে ওঠেন শিক্ষার্থীরা। সিদ্ধান্ত না মেনে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আন্দোলন দমাতে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় ৩০ শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপাচার্যের পালিত বহিরাগত লোকজন তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনের অচলাবস্থা কাটাতে প্রধামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে চেয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন