জালিয়াতি করে বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া ৯১ জন শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ বলছে, অধিকতর তদন্তের জন্য ওইসব শিক্ষার্থীর তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে দেয়া হয়েছে।
এদিকে, দ্রুত এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বিগত কয়েক বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ডিজিটাল জালিয়তির অভিযোগ উঠে। জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটকও করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও এসব বিষয়ে তদন্ত করে আসছিল। তদন্তে ২০১২-১৩ সেশন থেকে ২০১৭-১৮ সেশন পর্যন্ত ৬ বছরে জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া এসব শিক্ষার্থী চিহ্নিত হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই ‘ঘ’ ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে আসা। প্রশাসন বলছে, তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘যারা ছাত্রত্ব ছাড়া ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হয়েছে তাদের ছাত্রত্ব বাতিলের ব্যাপারে আমরা অনেক আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলে আসছিলাম। এজন্য আমরা সাধারণ ছাত্র সমাজ আন্দোলন, বিক্ষোভ ও মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। ডাকসুর পক্ষ থেকেও আমাদের ভিসি স্যারকে বলেছিলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর কেউ যেন অসদুপায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সাহস না দেখায় সেজন্য হলেও দোষীদের বহিষ্কার জরুরি। ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্তে যদি কোনও ফাঁকফোঁকর দেখি তাহলে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বাধ্য করবো সিদ্ধান্ত বহালের।’
এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী ব্রেকিংনিউজকে বলেন, ‘আমরা তদন্ত কাজ শুরু করেছি। এখানে ছাড় পাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। কেউ যদি পাস করে বেরও হয়ে যেয়ে থাকে তার সার্টিফিকেট বাতিল করা হবে। গোয়েন্দা সংস্থাও তাদের বিষয়ে তদন্ত করছে।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন