বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পর ভিসির পদত্যাগ না করায় ‘রক্ত দিয়ে দেয়াল লিখন’ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা আল্টিমেটাম দিতেই পারে। তাই বলে তো আমি পদত্যাগ করতে পারি না।
উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীরা পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দিতেই পারে। কিন্তু কোনো অবস্থাতে আমার পদত্যাগের প্রশ্নই আসে না। শিগগিরই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। এছাড়াও বলেন, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী বললেই পদত্যাগ করবেন তিনি।
বুধবার দুপুর আড়াইটায় শিক্ষার্থীরা নিজেদের শরীরের রক্ত দিয়ে ‘ভিসির পদত্যাগ চাই’ শীর্ষক দেয়াল লিখনের কর্মসূচি পালন করেন। উপাচার্য নির্দিষ্ট সময়ে পদত্যাগ না করায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে এক সিরিস করে রক্তদান করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। একটি মেডিকেল টিমের সহায়তায় দানকৃত রক্ত দিয়ে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ভবনের সামনে ‘উপাচার্যের পদত্যাগ চাই; মুক্ত করো, সত্য করো সুন্দর করো; স্বৈরাচারি ভিসির পদত্যাগ চাই’- ইত্যাদি স্লোগান লিখে ও ক্যাম্পাসজুড়ে পোস্টারিং করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’কে বলেন, রক্ত দিয়ে আন্দোলন করা যায়, সাংস্কৃতিক ও মানবিক দিয়েও যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করা যায় তা দেখিয়ে দিয়েছেন ববি শিক্ষার্থীরা। রক্তদিয়ে লেখা এ আন্দোলন ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখা থাকবে। উপাচার্য পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলতে থাকবে।
এর আগে টানা নবম দিনের মতো বুধবার সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের প্রশাসনিক শাখার সামনে জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ চেয়ে এক দফা দাবিতে স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের আয়োজন সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারণে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের সন্তান বলে গালি দিলে বেগবান হয় আন্দোলন। এই পরিপ্রেক্ষিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বন্ধের পরও হল ত্যাগ না করে টানা ৯ দিন আন্দোলন করে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন