রোববার ডিবিসির রাজকাহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কোটা আন্দোলন কারীর নেতা ও ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ডাবির জিএস গোলাম রাব্বানি।
ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, ডাবির নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। প্রথমে আমি দাবি করেছিলাম, ভিপি ও সমাজ কল্যাণ ছাড়া বাকি আসনগুলোতে নির্বাচন হোক। কিন্তু শিক্ষার্থীরা তা মানে নাই। তাই পরে সব পদে নির্বাচন দাবি করেছিলাম। এ নির্বাচন সুষ্ঠু না হওয়ার ব্যাপারে সরকার দায়ি নয়। এর সাথে সম্পূর্ণ প্রশাসন জড়িত। এ নির্বাচন শুরু থেকে প্রশাসন একটা বিতর্ক ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে বরাবর আধিপত্য বিস্তার করেছে। আর এর বলি হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। যার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমি চাই পুননির্বাচন হোক। তবে আন্দোলন এবং এক সঙ্গে পদেও থাকবো।
জিএস গোলাম রাব্বানি বলেছেন, ডাকসুর নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। ছাত্রলীগ সবসময় শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও যৌক্তিক দাবির সাথে এক ছিলো এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ছাত্রলীগ ভালো কাজ করেছে বিধায় শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়ে আমাদের জয়ী করেছে। যখন আমরা জয়ী হবার পথে তখন কিছু লোক ভ্রান্ত কথা বলা শুরু করলেন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় নাই। নুর পশ হয়েছে সে একসময় ছাত্রলীগ করতো বিধায়। নুর কখনোই শিবির করতো না। সে ছাত্রলীগের কর্মী ছিলো। অনিয়ম হলে তো অন্য দলের শিক্ষার্থী জয়ী হতে পারতো না। এ নিয়ে কেউ তো প্রমাণ দিতে পারে নাই। একটা কথা উঠেছে, সেখানে রোকেয়া ও কুয়েত মৈত্রী হলে ব্যালট পেপার সিলমারা হয়েছে। কিন্তু এর সাথে ছাত্রলীগ জড়িত না। এর সাথে কিছু ব্যাক্তিরা শিক্ষার্থীদের বø্যাকমেইল করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। একজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলে নাই যে, নির্বাচন অনিয়ম হয়েছে। তাহলে তারা লিখিত অভিযোগ দিতো।
ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দী বলেছেন, ডাবিতে কোনো ভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। বরং সবকিছুই প্রশাসন ও সরকারের সাজানো নাটক। ডাবির চিফ রিটানিং কর্মকর্তা বলেছেন, এ নির্বাচন নিয়ে আমরা বিব্রত। আর কুয়েত মৈত্রী হলে রাতে বস্তার ভেতর ব্যালট রাখা হয়েছিলো। তাহলে কি করে ছাত্রলীগ ও সরকার বলে এ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। প্রথম থেকে শিক্ষার্থীরা আমাদের সাথে ছিলো আর এখনোও আছে।
তিনি বলেন, ছাত্রলীগ প্রথমে বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। নুর শিবিরের লোক আমরা তাকে মানি না। কিন্তু পরে সরকার তাদের ফোন করলো তোমরা ভিপিকে মেনে নেও তা হলে আমরা বিপদে পরবো। পরে ছাত্রলীগ নুরকে মেনে নিলো। সরকার শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটা খেলা খেললো। ভোট চুরি না করলে আগের রাতে কেনো ব্যালট পাঠানো হলো। ব্যালটে কেনো সিরিয়াল নাম্বার ছিলো না। আমার উপর কয়েকবার হামলা করার চেষ্ঠা করা হয়েছিলো। পুরো নির্বাচনটা ছিলো সাজানো ও অবৈধ। আমরা এটাকে কোন ভাবেই মানি না। আমরা পুননির্বাচন দাবি করছি। আমরা আন্দোলনে আছি, আন্দোলনে থাকবো। আমি নুরকে বলবো এক সঙ্গে আন্দোলনে ও পদে থাকা যায় না। হয় একটায় থাকতে হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন