শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নাচের অনুশীলনীতে তাদের উদ্দেশ্যে ‘তোমরা নাচো, আমি টাকা ওড়াবো’ এক শিক্ষকের এমন অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ভুক্তভোগীরা। অভিযুক্ত শিক্ষক ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তালুকদার মোহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিনের অপসারণসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ দাবিতে বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে একটি মৌন মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুদকদার বাধা প্রদান করে বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অভিযুক্ত শিক্ষক শুধু এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তিনি বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ, যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্মে জড়িত। এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানালেও সঠিক সমাধান পায়নি শিক্ষার্থীরা। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে এ ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বলে জানায় তারা।
প্রক্টর অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদ বলেন, এভাবে তারা আন্দোলনে বা মাঠে না নামলে পারতো। তারা মানববন্ধনের বিষয়ে আমার কাছে কোনো ধরনের অনুমতি নেইনি।
গতকাল মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষকের এ কাণ্ড গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যেখানে ইংরেজি বিভাগসহ অন্যান্য বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা তাদের সঙ্গে বিভিন্ন সময় অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ, যৌন হয়রানি ও লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে বিচার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-ই এর ৪১৯ নম্বর কক্ষে বিভাগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে নাচ-গানের অনুশীলন করেছিলেন শিক্ষার্থীরা। এসময় ওই শিক্ষক ছাত্রীগের উদ্দেশ্য করে বলেন, রমণীরা আপনারা নাচেন, আমি দেখি। সঙ্গে থাকা একজনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তিনি আরও বলেন, আজ আপনাদের নাচের প্রতিটি মুদ্রায় একটা করে টাকা ওড়াব আমি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন