ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে মেরে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। আহত শিক্ষার্থী এখন হাসপাতালে ভর্তি। অভিযুক্ত ইমাম হাসান হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী। এছাড়া ডাকসু এবং জসীম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদপ্রত্যাশী।
মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) কথা কাটাকাটির জেরে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন ক্যাফেটেরিয়ার সামনে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মারধরে আহত ছাত্রের নাম মীর কাসেম। তিনি টুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। মারধরকারী এবং ভুক্তভোগী উভয়ই জসীম উদ্দিন হলের ছাত্র।
মারধরের সময় কাসেমকে বাঁচাতে দিয়ে আহত হন একই হলের দ্বিতীয় বর্ষের বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের ছাত্র জোবায়ের, তৃতীয় বর্ষের ম্যানেজম্যান্ট ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের মোস্তফা দাউদ ও দ্বিতীয় বর্ষের ইসলামিক স্টাডিস বিভাগের শওকত। তাদের কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন ও একটি মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়া হয় বলেও অভিযোগ ভুক্তভোগীদের৷
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইমাম ও কাসেমের মধ্যে একটি বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইমামসহ তার অনুসারীরা কাসেমকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় কাসেমকে বাঁচাতে গিয়ে আরও তিনজনকে মারধর করেন ইমামের অনুসারীরা।
কাসেম গুরুতর আহত হলে ইমামের অনুসারীরা তাকে হলের ডাস্টবিনে ফেলে রাখেন। পরে সেখান থেকে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগ নেতা মেশকাতসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযোগের বিষয়ে ইমামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘ছাত্রলীগের নাম ভাঙিয়ে যারা অন্যায়-অপরাধ করছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আমরা এ ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন