জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির হামলার শিকার হয়েছে জবি প্রেসক্লাবের সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বেশ ৭ সাংবাদিক।
সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টা থেকে কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে তরিকুল-রাসেল গ্রুপের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নতুন কমিটি প্রত্যাশিত কর্মীদের।
সরেজমিনে ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকেই স্থগিত কমিটির তরিকুল রাসেলের প্রত্যক্ষ মদদে এ হামলার ঘটানো হয়। বিকেল ৩ টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাস গেটে মারমুখী অবস্থান নেয় তরিকুল রাসেল গ্রুপের কর্মীরা। এতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে রামদা দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয় দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক রাকিবুল ইসলামের মাথায়। এছাড়াও মাথায় আঘাতের শিকার হন দৈনিক সমকালের লতিফুল ইসলাম, বিডি২৪ রিপোর্ট ডটকমের সানাউল্লাহ ফাহাদসহ ৭ জন সাংবাদিক। পরে পুলিশ রাকিবুলকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী সুমনা হাসপাতাল ও ন্যাশনাল মেডিকেলে প্রেরণ করেন।
এসময় ছাত্রলীগের কর্মীরা বেশ কয়েকটি ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্রের এলোপাথাড়ি বিস্ফোরণ ঘটান। তরিকুল রাসেলের পক্ষে হামলার নেতৃত্ব দেন ছোট তরিকুল রিমন ওরফে ছোট তরিকুল। এসময় তাদের হাতে পিস্তল, ককটেল, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, রামদা, বটি, হকিস্টিকসহ দেশীয় ধাঁরাল অস্ত্র দেখা যায় ।
এই মুহূর্তে ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিভিন্ন স্থানে উভয় গ্রুপের শতাধিক নেতা কর্মী ভাগ ভাগ হয়ে অবস্থান নিয়েছে। ফলে আশেপাশের এলাকায় থম্থমে অবস্থা বিরাজ করছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আশেপাশের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সাধারন সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ‘ক্যাম্পাসে কি হচ্ছে তা আমরা জানিনা। এটা জানার কথা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। কারা কি করছে সেটার দায় আমাদের উপর এখন বর্তায় না।’
অন্যদিকে সভাপতি তরিকুল ইসলামকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন কেটে দেন।
এছাড়া জবি প্রক্টর নূর মোহাম্মদ কে একাধিক বার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজুয়ানুল হক শোভন বলেন, ‘সাংবাদিকদের উপর আঘাত অত্যন্ত দুখজনক। তাদেরকে (জবি ছাত্রলীগ) একবার স্থগিত করে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত করে কঠিন থেকে কঠিনতর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।’
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন