বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের শেষ বর্ষের ছাত্র নাঈম ইসলামকে হত্যার পর লাশ পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আটক ছাত্রলীগ নেতাসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহত নাঈম (২০) গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের মরিয়া গোলাবাড়ি গ্রামের স্বর্ণ ব্যবসায়ী ইন্তেজার রহমানের ছেলে। সে বগুড়া শহরে বেসরকারি পলিটেকনিক বিট-এ ডিপ্লোমা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ বর্ষের ছাত্র ছিল।
নিহতের মা নাজমা বেগম শুক্রবার রাতে সারিয়াকান্দি থানায় এ মামলা করেন। শনিবার সকালে পুলিশ তাদের স্বীকারোক্তিতে গ্রামের একটি মাঠ থেকে তার মোটরসাইকেল ও রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করেছে।
গ্রেফতার আসামিরা হলেন সারিয়াকান্দির বাড়ইপাড়ার কান্টু মোল্লার ছেলে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত শ্রাবণ বিশু, একই গ্রামের আশিকুল ইসলাম বেলাল মুন্সির ছেলে আতিকুর রহমান, জোড়গাছা গ্রামের সাহাদৎ মেম্বারের ছেলে সিহাব বাবু, ধুনট উপজেলার গোলারতাইড় গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মনিরুজ্জামান মনির ও চিকাশী গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে অন্তর মিয়া।
সারিয়াকান্দি থানার ওসি আল-আমিন বলেন, নিহত নাঈমের মা নাজমা বেগম শুক্রবার রাতে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক নাঈমের তিন সহপাঠীসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা এলোমেলো উত্তর দিচ্ছে। শনিবার সকালে রামকৃষ্ণপুর গ্রামের একটি ঘাসক্ষেতে নাঈমের অ্যাপাচি বাইক (বগুড়া-ল ১২-০৯৩৬) ও ২০০ গজ দূরে রক্তমাখা শার্ট পাওয়া গেছে। তবে মোবাইল ফোনটি মেলেনি।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ফোন পেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। শুক্রবার সকালে সারিয়াকান্দি বাজারের পূর্বপাশে তার গলাকাটা ও আগুনে ঝলসানো তার বিকৃত লাশ পাওয়া যায়। তার বাইক ও মোবাইল ফোন ছিল না।
মা নাজমা বেগমের ধারণা, বন্ধুরা মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিতেই তার ছেলেকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তবে এলাকাবাসীরা বলছেন, মেয়েঘটিত কারণে বিরোধেই বন্ধুরা তাকে নৃশংসভাবে গলা কেটে হত্যার পর পরিচয় গোপন করতে আগুন দিয়ে শরীর ঝলসে দেয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন