এ বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ৬টি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো মাত্র ২১ জন। এর মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষার্থী ছিল এক কলেজে। ২১ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে এবারের পরীক্ষায়।
বৃহস্পতিবার দুপুরের পর বোর্ডের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. আনারুল হক প্রমানিক। ২০১৭ সালে শূন্য ফলাফল প্রাপ্ত কলেজ ছিল ১১টি। এর আগে ২০১৬ সালে ৮টি, ২০১৫ সালে ৫টি, ২০১৪ সালে ২টি এবং ২০১৩ ও ২০১২ সালে ৪টি করে কলেজ ছিলো এই তালিকায়।
বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর জানিয়েছে, শূন্য পাশের ওই ৬ কলেজের মধ্যে সর্বাধিক সাত জন পরীক্ষার্থী ছিল জয়পুরহাট সদরের জয়পুরহাট নৈশ্য কলেজে। চারজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নেয় নাটোরের গুরুদাশপুরের দুর্গাপুর বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় এবং সিরাজগেঞ্জর তাড়াশ উপজেলার বারুহাস আদর্শ কলেজ থেকে।
তিনজন পরীক্ষার্থী ছিল জয়পুরহাটরের পাঁচবিবি উপজেলার সালাইপুর হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজে। নওগাঁর মান্দা উপজেলার পূর্বমান্দ আইডিয়াল কলেজে দুইজন। মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল সিরাজগঞ্জ সদরের চৌগাছা মহিলা কলেজে।
এ বছর ১০ শতাংশের নিচে পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যা বেড়েছে। এ বছর এ তালিকায় রয়েছে ৫টি কলেজে। এর আগে ২০১৫ সালে ৭১টি, ২০১৫ সালে ৩৯টি , ২০১৪ সালে ২৬টি, ২০১৩ সালে ৩১ এবং ২০১২ সালে ২৭টি কলেজ ছিল এ তলিকায়।
এ বছর ৫০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজ রয়েছে ২০১টি। এর আগে ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৬ সালে এ তালিকায় ছিলো না বোর্ডের কোনো কলেজ। এ বছর ৫০ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজ রয়েছে ৫২৫টি। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫৬৯টি।
শূন্য পাস এবং ৫০ শতাংশের নিচে পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধিতে বোর্ডের কোনো দায় নেই দাবি করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার বলেন, এসব কলেজ শুধুমাত্র প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। ধারাবাহিতভাবে তারা এমন ফলাফল করলে কারণ খুঁজে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে বোর্ড। এরপর মন্ত্রণালয়ই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন