সিরাজগঞ্জে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই পা হারিয়েছেন শফিকুল ইসলাম শান্ত নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। সোমবার সকালে ঢাকাগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসে কড্ডার শহীদ এম. মনসুর আলী স্টেশনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত শফিকুল ইসলাম শফি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বড় চাকলি গ্রামের শাহজাহান আলী মাস্টারের ছেলে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান জানান, সকালে শান্ত নামে এক ছাত্র সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য কড্ডার শহীদ এম. মনসুর আলী স্টেশনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের চলন্ত ট্রেনটিতে উঠার সময় তিনি পা ফসকে পড়ে যান। এতে তার দুই পা দ্বিখণ্ডিত হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শামীমুল ইসলাম জানান, আহত ছাত্রের দুই পায়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এজন্য তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
একই রকম দুঃখজনক একটি ঘটনা ঘটেছিল ২০০৮ সালের ২০ জুন রাজধানীর তেজগাঁওয়ে। ট্রেনে কাটা পড়ে সেদিন দুই পা হারান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সাইফুল সামিন। এরপর দুই মাস ১৯ দিন পঙ্গু হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলে।
২০১০ সালের জুলাইয়ের শেষ দিকে তার কৃত্রিম পা সংযোজন করা হয়। প্রথম আলোতে প্রদায়ক হিসেবে কাজ করতেন সামিন। একটি সংবাদ সংগ্রহের জন্য গিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটে তার।
দুর্ঘটনার পরপর সামিন একেবারে ভেঙে পড়েন। যদিও আত্মশক্তিতে তিনি ফিরে এসে আবার সাংবাদিকতায় যোগ দিয়েছেন। আর সামিন যে প্রতিষ্ঠানে প্রদায়ক হিসেবে কাজ করতেন, সেই প্রথম আলো তাকে পূর্ণকালীন চাকরি দিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন