নিপীড়নবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ভাঙচুর, সম্পদহানি ও প্রক্টরকে অবরুদ্ধ করে রাখায় ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০-৬০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শাহবাগ থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কামরুল আহসান খান বাদী হয়ে এ মামলা (নং-৩৮) করে বলে পরিবর্তন ডটকমকে জানিযেছেন শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান।
গত সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাত কলেজের অধিভুক্তিতা বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীর আন্দোলনে ছাত্রলীগের এ হামলা ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছিল।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ‘নিপীড়নবিরোধী’ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে ৪ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। শিক্ষার্থীরদের উপস্থিতি দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের ফটক প্রশাসন বন্ধ করে দিলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা কলাপসিপল গেট ভেঙে ফেলে।
একই সঙ্গে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানকে বিচারের জন্য ৪৮ কর্মঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রাব্বানি পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক ভাঙচুর, সম্পদহানি এবং আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখায় এ মামলা করা হয়েছে।’
এ সময় তিনি আরো জানান, সোমবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা ও যৌন হয়রানির ঘটনা খতিয়ে দেখতে এবং বৃহস্পতিবার ফটক ভাঙচুরের ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মামলার প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সভাপতি তুহিন কান্তি দাস পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘এ ধরনের নৈতিক আন্দোলনে ছাত্রদের বিরুদ্ধে জবরদস্তি করলে পরিণতি কী হয়, ইতিহাসে আছে। আশা করি, প্রশাসন ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান দায়িত্বশীলরা প্রশাসন চালাতে ব্যর্থ, সেটা আরেকবার প্রমাণ করল। ছাত্রসমাজ এই ধরনের মামলা প্রত্যখ্যান করছে।’
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন