ভবন সংকটের কারণে বানারীপাড়ায় খোলা মাঠে তাবু টাঙিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। উপজেলার পশ্চিম চাখার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তাবুর নিচে পরীক্ষা দিচ্ছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
শুধু এ বছরই নয় ২০১৫ সাল থেকেই এভাবেই তাবুর নিচে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে বলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। এদিকে খোলা মাঠে পরীক্ষা নেয়ায় অভিভাবক সহ এলাকার শিক্ষা সচেতন মহল ক্ষোভ ও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
উপজেলাটিতে ১২৬টি সরকারি প্রাশমিক বিদ্যালয়, ৫৫টি ইবতেদায়ী ও ৭টি কিন্ডার গার্টেন মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ২৮৫ জন। এদের মধ্যে ২ হাজার ৭০৫ জন প্রাথমিক সমাপনী ও ৫৮০ জন ইবতেদায়ী পরীক্ষার্থী এবং মোট কেন্দ্র সংখ্যা ৯টি।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) পশ্চিম চাখার সরকারি প্রাথমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, খোলা মাঠে তাবুর নিচে পরীক্ষা দিচ্ছে ক্ষুদে পরীক্ষার্থীরা। এই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২২ জন। এ স্কুলের একতলা ভবনে তিনটি কক্ষে সংকুলান না হওয়ায় মাঠে তাবু টাঙিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্মতা আবুল কালাম আজাদ জানান পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় নিরুপায় হয়ে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাশবর্তী স্কুলগুলোতে পরীক্ষা নেওয়া যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান কোন স্কুলেই পর্যাপ্ত কক্ষ নেই। কয়েক বছর ধরে উপজেলার বহু স্কুল জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় রয়েছে।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে অপ্রয়োজনে সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে অথচ যেসব স্কুলে ভবন দরকার সেখানে বার বার আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি আলহাজ গোলাম ফারুক বলেন, পশ্চিম চাখার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করে এ সমস্যার সমাধাণ করা হবে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন