সিলেটের ওসমানীনগরে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে ধরা খেল ১০ শিক্ষার্থী। তাদেরকে বহিঃস্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত প্রক্সি পরীক্ষার্থীরা হলো, উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের মৃত নুরফর উল্লার ছেলে জুবায়ের আহমদ, তছলিম উল্লার ছেলে রাকিব আলী, আব্দুল আজিজের মেয়ে মুন্নি বেগম, তাজিম উল্লার মেয়ে শাপলা বেগম, আব্দুল বাছিদের মেয়ে সাজমিনা বেগম, রহমতপুর গ্রামের নছিব মিয়ার ছেলে নানু মিয়া, বাহার উদ্দিনের ছেলে সেজান আহমদ, রছন মিয়ার ছেলে সুমন আহমদ, ইলাছ উদ্দিনের ছেলে মুস্তাকিন আহমদ, ও সাজিদুর রহমানের মেয়ে তান্নি আক্তার রিমা।
জানা যায়, মঙ্গলবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার তৃতীয় দিনে “বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়” বিষয়ে উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এনজিও পরিচালিত বিভিন্ন আনন্দ স্কুলের ৬২জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের চাতলপাড় আনন্দকুল, সুন্দিখলা আনন্দ স্কুল ও উত্তর কালনীরচর আনন্দ স্কুল থেকে ১০ জন মূল শিক্ষার্থীর পরিবর্তে ১০ জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। তারা হলো ফাহিম মিয়ার পরিবর্তে জুবায়ের আহমদ (অছাত্র), মঈনুল ইসলাম পরিবর্তে নানু মিয়া (৪র্থ শ্রেণি), মাহবুবুর রহমানের পরিবর্তে সেজান আহমদ (৪র্থ শ্রেনি), পাবেল আহমদের পরিবর্তে সুমন আহমদ (৪থ শ্রের্ণি), শোয়েব আহমদেও পরিবর্তে রাকিব আলী (অছাত্র), বিধান সূত্র ধরের পরিবর্তে (৪র্থ শ্রেণি) আয়েশা বেগমের পরিবর্তে মুন্নি বেগম (৭ম শ্রেণি), সালমা বেগমের পরিবর্তে শাপলা বেগম (১০ম শ্রেণি), শিবলী বেগমের পরিবর্তে সাজমিনা বেগম (আলীম ১ম বর্ষ) ও ৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত তান্নি আক্তার রিমা।
এসময় বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক একটি চাত্রকে সন্দেহ হলে চ্যালেঞ্জ করেন। তখন শিক্ষকের চ্যালেঞ্জ একজন প্রক্সি পরীক্ষার্থী বেড়িয়ে এলে তাকে নিয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে অপর প্রক্সি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের কথা জানায়। তখন কেন্দ্র সচিব ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: নজরুল ইসলাম তাদের বহিঃস্কার করেন। ধারণা করা হয় এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শুরু থেকেই তারা এ কেন্দ্রে প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে আসছিল।
এব্যাপারে রহমতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব মো: নজরুল ইসলাম জানান, সকালে একটি ছাত্রকে সন্দেহ হলে তাকে অফিসে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে ১০ জন প্রক্সি পরীক্ষার্থী বেরিয়ে আসে। তাদের বহিঃস্কার করা হয়েছে এবং অভিভাবক এনে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেয়া হয়েছে।
এবারের প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় বালাগঞ্জ ওসমানীনগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে একটি বিদেশি বেসরকারী এনজিও সংস্থা পরিচালিত আনন্দ স্কুলের হয়ে অসংখ্য প্রক্সি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোপূর্বে বালাগঞ্জেও এরকম প্রক্সি পরীক্ষার্থী বহি৬স্কারের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন