সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দেশে ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা
গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা, নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক আবারও মামলা করার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপিপন্থী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনটির সদস্যরা মনে করছে সরকারের শীর্ষ মহলের নির্দেশেই ইউনুসের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।
Advertisement: 0:14
Close PlayerUnibots.in
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান বিবৃতিতে বলেন, আমরা জেনেছি যে, গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গত মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। আমরা মনে করি, দুদকের এ মামলা দুরভিসন্ধিমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং সরকারের ব্যর্থতা আড়াল করে দেশের চলমান পরিস্থিতি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অন্যতম ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের অংশ।
ইউট্যাব নেতৃদ্বয় বলেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার গত ১৫ বছরে দেশের মানুষের ভোটাধিকার, বাক-স্বাধীনতা, মানবাধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ ঠিকমতো ভোট দিতে পারেনি। সরকার তার অনুগত প্রশাসনযন্ত্রকে দিয়ে দিনের ভোট রাতেই কেটেছে। মানবাধিকার লক্সঘনের ঘটনা ঘটছে অহরহ। এসবের কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গত ২৪ মে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক না হলে নতুন ভিসা নীতির ঘোষণা দিয়েছে। এ ঘোষণার পর সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং তার কিছু অনুগত আমলার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাদের সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ব্যর্থতা আড়াল করতেই ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আবারও মামলা করেছে দুদক।
তারা বলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণের পথিকৃৎ। বাংলাদেশসহ অনেক দেশে তার ক্ষুদ্রঋণ মডেল অনুসরণ করা হচ্ছে। তার সামাজিক ব্যবসার ধারণাও বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে দরিদ্রদের জীবনমানের উন্নতি ঘটানোর স্বীকৃতিনস্বরূপ ২০০৬ সালে অধ্যাপক ড. ইউনূস শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। একই সঙ্গে তার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকও এ পুরস্কারে ভূষিত হয়। অধ্যাপক ইউনূসকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানজনক ডিগ্রি দিয়েছে। ১০টির বেশি দেশের সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কারসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১১২টি পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশে ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার এবং ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয় তাকে। আন্তর্জাতিক ৩৪টি কমিশন এবং ৩৬টি উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ইউনূস। উদ্ভাবনী ব্যবসা নিয়ে নিরলস কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ফরচুন ম্যাগাজিন তাকে একালের মহা উদ্যোক্তা অভিহিত করেছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন