মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় ঠিকানা গড়ে তুলেছেন এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণ অর্থপাচার করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ-১ আসনের এমপি নাইমুর রহমান দুর্জয়ে বিপক্ষে এমন অভিযোগ সামনে এসেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) তদন্ত করছে। এই ইউনিটের কাজ হলো মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে গঠিত সংস্থা যেটি বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিকট প্রদান করে। এক্ষেত্রে দুর্জয়ের বিপক্ষে আনিত অভিযোগের সত্যতা মিলছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।
ফারহানা রহমান হ্যাপি, দুর্জয়ের স্ত্রী। অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধেও। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে যে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন তাতে তথ্য গোপনের অভিযোগ উঠেছে। ফলে এনিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে জানা যায়। অবশ্য দুর্জয় এবং তাঁর স্ত্রীর বিপক্ষে এমন অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও তাদের বিপক্ষে দুর্নীতি, দখল বাণিজ্য, চাকরীর প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে।
এর আগে বাংলা ইনসাইডারে ‘দুর্নীতি ও দখল বাণিজ্য: এক এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক’ শীর্ষক প্রতিবেদন এবং ‘নিয়োগ বাণিজ্য: এক এমপির বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ’ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে দুর্জয়ের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগের চিত্র তুলে ধরা হয়। এখন আবার নতুন করে তাঁর বিরুদ্ধে ৯২ কোটি টাকা পাচার এবং এনবিআরে তাঁর স্ত্রীর দাখিল করা আয়কর রিটার্নে তথ্য গোপনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতি দমন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগগুলো নিয়ে অনুসন্ধান হচ্ছে। অনুসন্ধানের পর যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষ এ নিয়ে তদন্ত হবে এবং তদন্তের পরপরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন