গাজীপুরে প্রাইভেটকার থেকে শিক্ষক দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের একদিন পর শুক্রবার (১৯ আগস্ট) দুপুর পর্যন্তও মামলা হয়নি। সময় সংবাদের হাতে আসা একটি সিসিটিভির ফুটেজ সূত্র বলছে, গাড়িটি এঁকেবেঁকে কিছুক্ষণ চলার পর রাস্তার পাশে এসে থেমে যায়। সে সময় যানবাহনের কিছুটা জটলাও হয় ওই রাস্তায়।
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, বুধবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা ৫৮ মিনিট। গাজীপুরের হায়দারাবাদ ব্রিজ পার হতেই একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণহীন চলতে থাকে। এঁকেবেঁকে কিছুক্ষণ চলার পর এমএম পেইন্টিং কারখানার সামনের সড়কের বাঁপাশে থেমে যায়। এর ঠিক আগেই গাড়িটির ডান পাশের একটি দরজাও খুলে যায়। তবে অস্পষ্টতার কারণে গাড়ি থেকে কেউ নেমেছে কি না, বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বোঝা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) ভোরে গাছা থানার বগারটেক এলাকায় প্রাইভেটকারে শিক্ষক দম্পতির মরদেহ উদ্ধারের একদিন পরও উদ্ঘাটন হয়নি রহস্য। স্কুলশিক্ষক জিয়াউর রহমান মামুন ও তার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার জলির কর্মস্থলে এখন শুধুই শূন্যতা। অফিসকক্ষে পড়ে আছে তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র।
সহকর্মীরা বলছেন, স্বাভাবিকভাবেই স্কুল থেকে বের হওয়ার আগে অফিসের চাবি দিয়ে যান টঙ্গীর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই প্রধান শিক্ষক। সে সময় ওই গাড়িতে আরেক শিক্ষককে নিয়ে যেতেও দেখেছেন তারা। শিক্ষার্থীরা মেনে নিতে পারছেন না প্রিয় শিক্ষকদের এমন বিদায়।
গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) জানায়, মরদেহ উদ্ধারের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলসহ বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখছেন। ময়নাতদন্তে তাদের দেহের অভ্যন্তরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার সাফি মোহায়েন। বৃহস্পতিবার রাতেই ময়মনসিংহের ত্রিশালে তাদের দাফন করা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন