করোনা সংকটেও উন্নয়ন বাজেট বা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) নতুন আকার হচ্ছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি ১৪ লাখ টাকা। নতুন এডিপিতে দেশীয় উৎস থেকে বেশি সম্পদের জোগান দেওয়া হচ্ছে।
২ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা, যা মোট বরাদ্দের ৬১ শতাংশ। অবশিষ্ট ৩৯ শতাংশ বা ৮৭ হাজার ৭০০ কোটি টাকা আসবে বিদেশি উৎস থেকে।
২০২১-২২ অর্থ বছরের এডিপির আকার নিয়ে রোববার (০৯ মে) শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এক বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এডিপির নানা বিষয়ে আলোচনা হয়।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের (কৃষি, শিল্প ও সমন্বয় উইং) যুগ্মপ্রধান মো. ছায়েদুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, নতুন এডিপির আকার
২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা হতে পারে। করোনা সংকটেও বড় এডিপি নেওয়া হচ্ছে এটা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। মোট সংখ্যা ১ হাজার ৫১৫টি হতে পারে। স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের অনুকুলে প্রস্তাবিত বরাদ্দ মােট ১১ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা।
সবসহ ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত এডিপি’র আকার দাঁড়ায় সর্বমােট ২ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় মুদ্রা ১ লাখ ৪৪ হাজার ১৭ কোটি টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ৯২ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা।
২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত এডিপিতে বরাদ্দসহ অন্তর্ভুক্ত প্রকল্প সংখ্যা মােট ১ হাজার ৪২৬ টি (বিনিয়ােগ প্রকল্প ১৩০৮ টি+কারিগরি সহায়তা প্রকল্প ১১৮)। এর মধ্যে ২০২০-২১ অর্থ বছরের সংশােধিত এডিপি হতে প্রস্তাবিত এডিপিতে স্থানান্তরিত প্রকল্প সংখ্যা ১ হাজার ৩৯৬টি। এছাড়া, স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা/করপোরেশনের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ৮৯টি প্রকল্পসহ এডিপিতে বরাদ্দসহ প্রকল্প সংখ্যা দাঁড়ায় সর্বমােট ১৫১৫টি।
প্রস্তাবিত এডিপিতে এবারও স্বাস্থ্য খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে উৎপাদন বৃদ্ধি ও কৃষি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পে বরাদ্দ অব্যাহত থাকছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন