বিশ্বের যে কোনো দেশের শরণার্থী শিবিরের চেয়ে ভাসানচরের রোহিঙ্গা আশ্রয়ণকেন্দ্র বেশি নিরাপদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে সেমিনারে এ মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা। বক্তারা বলেন, ভাসানচর সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভুল ধারণা দূর করাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত ১৫ লাখ রোহিঙ্গার ভারে প্রায় বিপর্যস্ত পর্যটন নগরী কক্সবাজারের প্রতিবেশ ও অর্থনীতি। পাহাড়ি এলাকায় ঘনবসিতে নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কঠিন হয়ে উঠছে রোহিঙ্গাদের জীবনও।
এই বাস্তবতায় নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপে গড়ে তোলা দৃষ্টিনন্দন আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলমান। এরইমধ্যে সেখানে বসবাস শুরু করেছে প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা। কিন্তু এখনো ভাসানচরের ভৌগোলিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আন্তর্জাতিক মহল।
তাই ভাসানচরের প্রকৃত সুবিধা ও প্রতিকূলতার চিত্র তুলে ধরতে গবেষণা চালায় সেন্ট্রাল ফাউন্ডেশন ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগ। এতে বলা হয়- থাকার ঘর, খাদ্য, পানি ও নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট রোহিঙ্গারা। তবে পর্যাপ্ত নয় স্বাস্থ্যসেবা ও কর্মসংস্থান।
সেমিনারে ভূগোল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা জানান, ওই অঞ্চলে সুনামির কোনো শঙ্কা নেই। এছাড়া ভাসানচরে ক্ষতি করতে পারবে না বড় কোন ঝড়ও।
ভাসানচরের খুঁত না ধরে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে আন্তর্জাতিক মহলকে উদ্যোগ নেয়ার আহবান জানান আলোচকরা।
শীর্ষনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন