পানিতে টই টুম্বুর তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান খাল, দিনাজপুর খাল, রংপুর খালসহ সব ছোট-বড় খাল। জমিতে চারা রোপন, পরিচর্যা, নিড়ানি ও সার প্রয়োগে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষান-কিষানিরা। কাটা মাড়াইয়ের সময় ভাল দাম পেতে সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন তারা।
বিস্তির্ন এলাকায় সবুজের সমারোহ। এই মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি পেয়ে বাম্পার ফলনের আশা কৃষকের। কাটা মাড়াইয়ের সময় ভাল দাম পেলে আশানুরুপ লাভের মুখ দেখবে কৃষকেরা। চলতি বোরো মৌসুমে কমপক্ষে ১ হাজার কোটি টাকার ধান উৎপন্ন হবে বলে দাবী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
গত বারের মত এবারেও শুকনো মৌসুমে ডালিয়া পয়েন্টের তিস্তা নদীতে আড়াই হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সে পানি হেড রেগুলেটরের মাধ্যমে সিলট্রাফ হয়ে নেওয়া হচ্ছে প্রধান খালসহ সব খালে। এই পানিতে নীলফামারী, রংপুর আর দিনাজপুর জেলায় ইরি-বোরো চারা রোপন করা হয়েছে ৬০ হাজার হেক্টর জমিতে। যা থেকে উৎপন্ন হবে সাড়ে ৩ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য শষ্য।
প্রতি একর জমিতে প্রকল্পের পানি নিয়ে আবাদ করতে মাত্র চারশ’ ৮০ টাকা ব্যয় হয়। এতে শুধুমাত্র সেচ খাতে কৃষকের সাশ্রয় হবে ৯৬ কোটি ৬২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড, ডালিয়া ডিভিশন নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, 'গত মৌসুমে ৫০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি বোরো আবাদ হয়েছিল। কিন্তু এবারে তিস্তা নদীতে আড়াই হাজার কিউসেক পানি প্রবাহ থাকায় লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৬০ হাজার হেক্টর নির্ধারন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। যে পরিমান পানি আছে তা দিয়ে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করা সম্ভব।'
এছাড়াও, পানি উন্নয়ন বোর্ড, নীলফামারী ডিভিশন নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতায় এবারে ১ হাজার কোটি টাকার খাদ্য শষ্য উৎপন্ন হবে যা কৃষি অর্থনীতিতে রাখবে বিশেষ ভূমিকা। বিশেষ করে প্রকল্পের আওতায় ফসল ফলাতে কৃষকের ব্যয় হয়ে থাকে যৎসামান্য। এ ছাড়াও ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১থেকে সাড়ে ৩মিটার উপরে উঠে এসেছে বলে জানালেন এই কর্মকর্তা।'
বিডি প্রতিদিন
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন