নিয়মিত কোর্ট খুলে দেওয়ার বিষয়ে ৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশ গ্রহণে ফুলকোর্ট সভা হয়। সেখানে বিচারপতিদের এক অংশ শারীরিক উপস্থিতিতে বিচার কাজ চালনার পক্ষে মত দেন। তবে অপর অংশ ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কাজ চালিয়ে নিতে বলেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই পদ্ধতিতেই উচ্চ আদালতে বিচার কাজ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন প্রধান বিচারপতি। যদিও এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনকিছু জানানো হয়নি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম আমিন উদ্দিন বলেন, যেসব বিচারপতি ও আইনজীবী স্ব-শরীরে কোর্টে যেতে চান তারা যাবেন। আর যারা যেতে চান না তাদের জন্য ভার্চুয়াল কোর্ট। এতে একটা সমন্বয় হবে। আমরা এটিকে স্বাগত জানাই। তবে শারীরিক উপস্থিতিতে কোর্ট চালানোর ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি পালনে প্রয়োজনীয় নিয়ম-নীতি তৈরির কথা বলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, দুই সিস্টেম কোথাও কার্যকর হয়েছে বলে মনে হয়না। তাই স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করে সব আদালতকেই নিয়মিত করার পক্ষে মত দেন তিনি।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, দুই রকম পদ্ধতি থাকার জন্য আমি আগেই দাবি জানিয়েছিলাম। এখন এমনটা হলে খুবই ভাল হবে। তবে এখানেও নিশ্চয় জরুরী বিষয়গুলো প্রাধান্য দিতে হবে। আর অবশ্যই শারীরিক উপস্থিতির ক্ষেত্রে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় সেদিকে খেয়াল রাখার কথা বলেন তিনি।
ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম বলেন, এমনটি হলে দুইভাগ হয়ে যাচ্ছে মনে হয়। দেখা যাবে কোন একটি বিষয়ে এমন বেঞ্চকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে যেখানে আইনজীবীরা যেতে চাচ্ছেনা। আবার জামিনের জন্য নিয়মিত বেঞ্চকে দায়িত্ব দিলে সেখানে ব্যাপক ভীর হবে। এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতিকে সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে জানান তিনি।
কোভিডের কারনে ২৬ মার্চ থেকে সরকারের সঙ্গে মিল রেখে আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। অধ্যাদেশ জারির পর ১১ মে থেকে আদালতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কাজ শুরু হয়। তবে ৩০ মে’র পর সাধারণ ছুটি আর না বাড়ালেও আদালতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কাজ অব্যাহত থাকবে জানায় সুপ্রিম কোর্ট। সব শেষ ৫ আগস্ট থেকে অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ চালুর সিদ্ধান্ত দেয় সুপ্রিম কোর্ট।আস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন