রিজেন্ট গ্রুপের ফেসবুক পেইজে দেয়া এক ভিডিও বার্তায়, প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার শাহেদকে নিয়ে চাঞ্চল্যকার তথ্য দিয়েছেন ‘আসল’ রিজেন্ট গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্যারিস্টার তারেক আকবর খন্দকার।
ভিডিও বার্তায় ব্যারিস্টার তারেক আকবর বলেন, ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছে রিজেন্ট গ্রুপ। এটি সরকারের নিবন্ধিত একটি কোম্পানি। কিন্তু সম্প্রতি একটি ফেইক রিজেন্ট গ্রুপের নাম শোনা যাচ্ছে। যারা উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক। যাদের হেড অফিস উত্তরায়। তাদের ওয়েবসাইটে আমাদের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের নাম দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গুলশান সোসাইটির একটি প্রোগ্রামে দুইজন লোক এসে আমাকে বলে তারা রিজেন্ট গ্রুপের ডিরেক্টর। অথচ আমি তাদেরকে চিনি না। কথাবার্তায় জানতে পারি ডিরেক্টর হওয়ার জন্য তারা দুই কোটি করে টাকা দিয়েছেন ফেক রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা কোনো কাগজপত্র পাননি। এছাড়া ২০১৫ সালের ফেক রিজেন্ট গ্রুপের মালিক সাহেদ কক্সবাজারের ইনানীতে আমাদের জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তোলেন। পরে ব্যক্তিগত ফেসবুকে সেই ছবি আপলোড করে লেখেন ‘প্রজেক্ট ভিজিট’। নিশ্চয় কু-উদ্দেশ্য না থাকলে অন্যের জমিতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে তিনি ‘প্রজেক্ট ভিজিট’ লিখতেন না। এতে আমি বুঝলাম এসব বাটপারি করেই তারা বিজনেস চালায়।
তারেক আকবর বলেন, আমরা ২০১৫ সালে উত্তরার সেই ফেক রিজেন্ট গ্রুপকে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠাই। সেখানে আমাদের রিজেন্ট গ্রুপের নাম ব্যবহারের জন্য আমরা দুইশ’ কোটি টাকার মানহানি মামলার কথা বলি। তাদেরকে বলা হয় যেন আমাদের নাম ব্যবহার না করে।
ব্যারিস্টার তারেক খন্দকার বলেন, আমি মনে করি সাহেদের মতো যারা বিভিন্ন কোম্পানির নাম ব্যবহার করে প্রতারণার আশ্রয় নেয় তাদেরকে আইনের আওতায় আনা উচিত এবং কঠোর শাস্তি দেয়া প্রয়োজন। কারণ এদের জন্য সরকারের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হচ্ছে।আস ভিডিওclick here
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন