বিকেল আনুমানিক সোয়া ৫টা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে এসে থামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) একটি গাড়ি। ঢামেক হাসপাতালে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রয়োজনে র্যাবের গাড়ি আসে। নিয়মিত আসার কারণে আজকেও র্যাবের গাড়িটি দেখে কেউই অবাক হননি। কিন্তু যখনই গাড়ি থেকে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান প্রতারক সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদকে নামতে দেখেন তখনই উৎসুক জনতার ভিড় জমাতে থাকে। তবে সেখানে সাহেদকে বিচলিত দেখা যায়নি।
বুধবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকেই সাংবাদিকরা র্যাবের প্রধান কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে গ্রেফতার সাহেদকে ফলো করলেও তাকে যখন ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় তখন গণমাধ্যমের খুব বেশি কর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন না।
ঢামেকে সাহেদকে আনার পর দেখা গেছে, র্যাবের কড়া পাহারায় নেভি ব্লু শার্ট ও কালো প্যান্ট পরিহিত অবস্থায় স্বাভাবিকভাবে হেঁটেই জরুরি বিভাগের ৪ নম্বর কক্ষে যান তিনি। কর্তব্যরত চিকিৎসক তার মুখে সমস্যার কথা শুনে এক্স-রে এবং ইসিজি করতে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন হাসপাতালের চিকিৎসক কর্মচারী জানান, এ সময় প্রতারক সাহেদকে এতটুকু বিচলিত দেখা যায়নি। তার মধ্যে অনুশোচনার লেশমাত্র ছিল না। খুব স্বাভাবিকভাবেই সে হেঁটে চিকিৎসকের কক্ষে যায়। সেখান থেকে তার এক্স-রে এবং ইসিজি করতে নেয়া হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ সাহেদের টিকিটে ফিজিক্যাল অ্যাসাল্ট লেখা রয়েছে।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে মোহাম্মদ সাহেদকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে গেছে র্যাব।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন