নেত্রকোনার মদনে স্ত্রীর পরকীয়া সইতে না পেরে ৩ সন্তানের জনক আঙ্গুর মিয়া (৪০) নামের এক কৃষক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার সকালে উপজেলার চাঁনগাও ইউনিয়ের হাসকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে মদন থানার পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে স্ত্রী আছমা, আঙ্গুরের ভাই মানিক, ভাগ্নে মনিরকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাঁসকুড়ি গ্রামের রতনের ছেলে ফরিদের সাথে একই গ্রামের আঙ্গুরের স্ত্রী আছমা আক্তারের পরকীয়া চলে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার আঙ্গুর মিয়ার স্ত্রী আছমা আক্তার (৩০) তার ছোট বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ির সামনে ফরিদের দোকানে যায়। একই বাড়ির আলিমুদ্দীনের ছেলে হারেছ মিয়া দোকানে বসে থাকলে আছমা আক্তারের ছোট বাচ্চাকে একটি চিপস কিলে দেওয়া পর ফরিদ তার নিজের পরকীয়া ধামাচাপা দিতে এলাকার লোকজনের কাছে বলাবলি করতে থাকে- আঙ্গুরের স্ত্রী আছমার সাথে হারেছের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে।
পরকীয়া সম্পর্কের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্বামী আঙ্গুর মিয়ার সাথে স্ত্রী আছমা আক্তারের পারিবারিক কহল শুরু হয়। পারিবারিক কলহে আছমা শনিবার তার খালু একই গ্রামের দিলু মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য এলাকার মাতাব্বরগণ মঙ্গলবার সকালে আঙ্গুর মিয়ার বাড়িতে সালিস বৈঠক বসলে ফরিদ মিয়া আঙ্গুর মিয়াসহ সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
সালিসের সিন্ধান্তনুযায়ী বুধবার সকালে স্ত্রী আছমা আক্তারকে তার খালুর বাড়ি থেকে আঙ্গুর মিয়ার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসবে। এতে আঙ্গুর মিয়া অসম্মতি জানালে ভাই মানিক ও ভাগ্নে মনির আঙ্গুর মিয়াকে চাপ সৃষ্টি করে স্ত্রীকে বাড়ি আনতে। বৃহস্পতিবার ভোরে পরিবারের লোকজন বাড়ির পেছনে বাঁশের সাথে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে মদন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। এ সময় স্ত্রী আছমা, ভাই মানিক ও ভাগ্নে মনিরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনার মর্গে প্রেরণ করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরি সার্কেল) জামাল উদ্দিন জানান, বুধবার সকালে হাঁসকুড়ি গ্রামের আঙ্গুর মিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা মর্গে প্রেরণ করেছে। তার স্ত্রী আছমা, ভাই মানিক ও ভাগ্নে মনিরকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন