গত ২৯ জুন সকালে রাজধানীর শ্যামবাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চ দুর্ঘটনার জন্য কারা দায়ী বা কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে তা বলেননি নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি শুধু জানিয়েছেন, রাজধানীর শ্যামবাজার সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিং বার্ড লঞ্চ দুর্ঘটনায় ৩৪ জনের মৃত্যুর বিষয়টি হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রমাণিত হলে এ সংক্রান্ত অবহেলাজনিত মামলাটি ‘হত্যা মামলা’ (ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারা) হিসেবে বিবেচিত হবে।
মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সচিবালয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই তথ্য জানান তিনি। লঞ্চডুবির ঘটনায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রফিকুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটি গতকাল সোমবার (৬ জুলাই) রাতে তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়।
সিসিটিভি ফুটেজে বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি
সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী জানান, ‘প্রতিবেদনে ২০টি সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। যেগুলো সম্ভব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। যেগুলো বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ সেগুলো সময় নিয়েই বাস্তবায়ন করা হবে। প্রয়োজনে এ নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলের পরামর্শও গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন সকালে ঢাকা-চাঁদপুর রুটের ময়ূর-২ নামের একটি লঞ্চের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেন। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটিকে পরবর্তী সাত কর্মদিবসের মধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংস্থাকে শনাক্তকরণ এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ দিতে বলা হয়।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন