করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সরকারের এন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিই কেনাকাটায় অনিয়ম-দুর্নীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সংবাদ প্রতিবেদন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক সংরক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।
পাশাপাশি এ সংক্রান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহের পর তা বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে শুক্রবার টেলিফোনে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তিনি।
এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিই কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কমিশন অনুসন্ধান করবে কিনা এমন প্রশ্নে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, “যেকোনো প্রয়োজনে যেকোনো প্রতিষ্ঠান ক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করবে এটা স্বাভাবিক, এক্ষেত্রে দুদকের কিছু করণীয় নেই। তবে এসব ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি কিংবা জাল-জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে দুদক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
“এন-৯৫ মাস্ক এবং পিপিই ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গণমাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি বা প্রতারণার কিছু খবর এসেছে। কমিশন এ সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংরক্ষণ করছে। এছাড়া কমশিনের হটলাইনে স্বাস্থ্য খাতের বেশকিছু কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। কমিশনের গোয়েন্দা ইউনিটকেও এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।”
কমিশন সার্বিকভাবে এসব কেনাকাটার বিষয়গুলো দেখছে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, “এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব প্রক্রিয়ায় তদন্ত সম্পন্ন করেছে বলে আমরা জেনেছি। আমরা হয়তো তাদের এই প্রতিবেদনটি সংগ্রহ করব। এখন বিভিন্ন উৎস হতে তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এরপরই পূর্ণাঙ্গ কমিশন বসব এবং এসব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
মাস্ক বা পিপিইর মত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সামগ্রী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীদের জীবনের নিরাপত্তার সাথে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাই এ সকল অভিযোগ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুততার সাথে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। দুদক যেহেতু স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারাবদ্ধ তাই এ বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত আপনাদের মাধ্যমেই জনগণকে অবহিত করা হবে।”
এগুলোও ছাড়াও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে রাজধানীর বড় হাসপাতালগুলোর বিষয়ে দুদকে অভিযোগ এসেছে বলে জানিয়ে চেয়ারম্যান বলেন, এসব অভিযোগও যাচাই-বাছাই করা হবে এবং অভিযোগের সারবত্তা থাকলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন