র্যাব সদর দফতরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যা, নির্যাতন, যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে স্ত্রীর করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৭ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শুক্রবার (৫ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম ইলিয়াস মিয়া মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
রমনা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (নারী ও শিশু) শরীফ আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুন) রাতে রমনা থানায় এএসপি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী ইশরাত রহমান। মামলায় ইশরাত রহমান তার স্বামী নাজমুস সাকিব, শ্বশুর সফিউল্লাহ তালুকদার, শাশুড়ি খালেদা সুলতানাকে আসামি করেছেন।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ই-মেইলের মাধ্যমে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান রমনা থানায় অভিযোগটি পাঠান। তবে ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ আমরা মামলা হিসেবে না নেয়ার কথা জানিয়ে তাকে সশরীরে থানায় আসতে বলি। পরে তিনি থানায় উপস্থিত হওয়ায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নাজমুস সাকিবের (৩৪) সঙ্গে ইশরাত রহমানের ২০১৭ সালে মার্চে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর মো. সফিউল্লাহ তালুকদার (৬০), শাশুড়ি খালেদা সুলতানা (৫২) তাদের যৌতুকলোভী এবং অত্যাচারী মনোভাব প্রকাশ করতে থাকেন। আসামিরা বিভিন্ন সময় ইশরাতকে তার বাবার কাছ থেকে নগদ টাকা এনে দিতে চাপ দিতে থাকেন। টাকা না দিলে আসামিরা মিলে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। নির্যাতনের ভয়ে তিনি তার বাবার কাছ থেকে প্রায়ই নগদ টাকা এনে আসামিদের দিতেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ১২ লাখ টাকা যৌতুক দিতে না পারায় আসামিরা ইশরাতের ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন। ওই সময় ইশরাত গর্ভবতী হলে তার ওপর আসামিদের নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। তারা তালাকের ভয় দেখিয়ে ইশরাতকে গর্ভপাত করানোর চাপ দিতে থাকেন। ইশরাত রাজি না হলে তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে ইশরাতের স্বামী নাজমুস সাকিব তালাকের ভয় দেখিয়ে গর্ভপাত করান।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন