যেদেশে ডাক্তারদেরই সময় মতো পিপিই জোটে না সেদেশের একজন প্রাইভেট কোম্পানি জব হোল্ডারের জীবনের মূল্য কি? আক্ষেপ করে কথাগুলো বললেন জাহান রহমান। তিনি পেশায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষক।
জাহান রহমান জানান, অফিস থেকে ডাক পড়লো। তাই নিজেকে এক প্রকার প্যাকিং হয়েই রাস্তায় নামতে হলো। নিজের জন্য হলে জীবনেও এত বড় ঝুঁকি নিয়ে অফিস যেতাম না। তাতে জব না থাকলে না থাকতো।
কিন্তু অফিসের অন্য দশজন কলিগের যদি এই ক্রান্তিকালে আমার জন্য বেতন পেতে দুদিন দেরি হয় তাহলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না কোনোদিন। অফিসের এডমিন কাম একাউন্টেন্ট সবই আমি। আমাকে ছাড়া বেতন দিতেও পারতো না স্যাররা।
এই চরম সঙ্কটময় মুহূর্তে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন রেগুলার পদ্ধতিতে না দিয়ে অন্য উপায়ে দেওয়া যেত। অনলাইন সিস্টেম রয়েছে। বিকাশ বা অন্যান্য মাধ্যম রয়েছে। করোনার ভয়াবহতা আমাদের বুঝতে হবে। যে কেউ আমরা যে কোনোভাবে আক্রান্ত হতে পারি।
যায়হোক, অন্যদের কথা চিন্তা করে অফিসের দিকে রওয়ানা হয়ে সকালে রাস্তায় নামতেই কেমন যেন গাঁ ছমছম করছিল। চারিদিকের পরিবেশ দেখে এমন স্তব্ধ আর সুনসান উত্তরা এর আগে আমি কখনো দেখিনি। তাও আবার সম্পূর্ণ অফিস আওয়ারে।
জানি না আল্লাহ আমাদের কবে রেহাই দেবেন এই মহামারি থেকে। তবে আজ রাতে নামাজে আল্লাহকে মন ভরে ডেকে বলবো, হে আল্লাহ তুমি তোমার অবুঝ বান্দাদের এইবারের মত ক্ষমা করে দাও।
ঢাকাটাইমস
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন