সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনে ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (২৬ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে ভবনের সপ্তম তলায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৬০৬ নম্বর কক্ষে ফলস সিলিংয়ের সঙ্গে থাকা টিউব লাইটের স্টার্টারে আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভে যায়। এতে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
আগুনের সঙ্গে ধোঁয়া দেখে ওই কক্ষে কর্মরতরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। একই সঙ্গে তারা পানি ছিটিয়ে আগুন নেভান।
তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা চারজন কর্মকর্তা ৬০৬ নম্বর কক্ষে বসেন। কাচঘেরা যে স্থানের ওপর লাইটে আগুন লেগেছে সেখানে বসেন সিস্টেম অ্যানালিস্ট সিরাজুল ইসলাম। ওই সময় তিনি কক্ষে ছিলেন না। বিকেল ৩টার দিকে ৬ নম্বর ভবনের সপ্তম তলায় গিয়ে দেখা গেছে, ৬০৬ নম্বর কক্ষ ও এর চারপাশে পোড়া গন্ধ। পুড়ে যাওয়া লাইট সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
fire
এই রুমে বসেন সহকারী প্রোগ্রামার মুহা. শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ফলস সিলিংয়ের টিউব লাইটের একদিকে ধোঁয়া দেখতে পাই, আগুনও জ্বলে ওঠে। আমরা ফায়ার সার্ভিসে খবর দিই। এরপর পানি এনে ছুড়ে মারি, এতে আগুন নিভে যায়।’
খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে ছুটে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ৬ নম্বর ভবনের নিচ থেকে পানি সরবরাহের ডেলিভারি হোস পাইপ সপ্তম তলায় উঠানো হয়। আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি নিয়ে হাজির হন ফায়ার ফাইটাররা।
সচিবালয়ের ফায়ার স্টেশনের সাব-অফিসার শাহ জাহান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমরা আসার আগেই আগুন নিভে গেছে। টিউব লাইটের স্টার্টারে আগুন লেগেছিল। ফলস সিলিংয়ে আগুন লাগলে তা ছড়িয়ে পড়তে পারত। আগুন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
fire
খবর পেয়ে ঢাকা সদর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশীদ সচিবালয়ে চলে আসেন। তিনি বলেন, ‘আগুনে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে আমাদের পুরো প্রস্তুতি ছিল। সচিবালয়ের ভেতরে ফায়ার সার্ভিসের বড় গাড়িগুলো প্রবেশ করা সম্ভব নয়। আমরা সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে চিঠি লিখেছি।’
এর আগে গত বছরের ৭ জুলাই সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সপ্তম ও অষ্টম তলার মাঝামাঝি স্থানে বৈদ্যুতিক বোর্ড রুমে আগুন লাগে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন