চলছে বয়ান, জিকির-আজকার, ইবাদত-বন্দেগি। টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা মাঠে লাখো মানুষের ভিড়। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে সবাই ছুটছেন তুরাগ তীরে। যেন মুসল্লিদের সব স্রোত এখন ইজতেমা ময়দানমুখী। বিভেদ ভুলে সবাই যেন একই পথের পথিক।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি হতে যাচ্ছে আজ। সকাল থেকে হেদায়েতি বয়ান শুরু হয়েছে। হেদায়েতি বয়ান শেষে বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার মধ্যে দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ইজতেমার শীর্ষ মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম। এ পর্বে আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন দিল্লির মাওলানা জমশেদ।
রাজধানীর খিলগাঁও থেকে রাইদা বাসে উত্তরা হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত এসেছে সাজ্জাদুল হকসহ ১৩ জন। সাজ্জাদুল হক বলেন, আমরা প্রতিবছর দুইবারই ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিই। অন্যান্যবার কুড়িল বিশ্বরোড থেকেই বাস বন্ধ থাকে কিন্তু এবার হাউস বিল্ডিং পর্যন্ত আসছে। এরপর বাকি পথ আমরা হেঁটে যাবো। আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে পারলে মনে এক ধরনের প্রশান্তি কাজ করে। যে কারণে এখান থেকে বাকি পথ হেঁটেই যাবো। যদি পথিমধ্যেই মোনাজাত শুরু হয়ে যায়, তাহলে রাস্তাতেই বসে মোনাজাতে অংশ নেব। যে কারণে রাস্তা বন্ধ থাকলেও কোনো ভোগান্তি মনে হয় না।
এদিকে আখেরি মোনাজাতের দিন ইজতেমায় অংশগ্রহণকারীদের সুবিধার্থে ১৬টি বিশেষ ট্রেন চলাচল করছে। সব আন্তঃনগর ট্রেন টঙ্গীতে যাত্রা বিরতি করবে। এছাড়া বিআরটিসির শতাধিক বিশেষ বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
অন্যদিকে আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাঁচ স্তরে নিরাপত্তার ব্যবস্থার পাশাপাশি অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রাখা হয়েছে।
ইজতেমা সূত্র জানায়, দ্বিতীয় পর্বে ৩৫টি রাষ্ট্রের প্রায় আড়াই হাজার মুসল্লি যোগ দিয়েছেন। এ বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু হয় ১০ জানুয়ারি। আর ১২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের প্রথম পর্ব শেষ হয়। প্রথম পর্বে ৬৪ জেলার মুসল্লিরা অংশ নেন।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন