সদ্য প্রকাশিত রাজাকারের তালিকায় গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধার নাম আসার অভিযোগের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা নিজেরা কোনো তালিকা প্রস্তুত করিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা যে তালিকা করেছে, আমরা শুধু তা প্রকাশ করেছি। সেখানে কার নাম আছে, আর কার নাম নেই সেটা আমরা বলতে পারব না।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমকে এক প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী বলেন, একই নামে তো অনেক মানুষ থাকতে পারে। আর একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় আসবে কেন, এটা হতে পারে না। আর যদি আসেও সেটা পাক বাহিনীর ভুল। যদি মুক্তিযোদ্ধার নাম রাজাকারের তালিকায় এসে থাকে, তবে আমরা সেটা যাচাই করে দেখব।
উল্লেখ্য, রোববার প্রথম ধাপে ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধার নাম এসেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) বরিশাল জেলার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী তার বাবা ‘তপন কুমার চক্রবর্তী’র নাম নিয়ে এমন অভিযোগ তুলেছেন।
সোমবার মনীষা চক্রবর্তী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, তার বাবা এড. তপন কুমার চক্রবর্তী একজন গেজেটেড মুক্তিযোদ্ধা। ক্রমিক নং-১১২ পৃষ্ঠা-৪১১৩। তিনি নিয়মিত মুক্তিযোদ্ধা ভাতা ও পেয়ে থাকেন। অথচ রাজাকারের তালিকায় তিনি ৬৩ নাম্বার রাজাকার। এছাড়া তালিকায় তার ঠাকুমার নামও প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি লিখেছন, আমার ঠাকুরদা এড. সুধির কুমার চক্রবর্ত্তীকে পাকিস্তানি মিলিটারি বাহিনী বাসা থেকে ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। তিনিও ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃত। তার সহধর্মিণী আমার ঠাকুমা উষা রানী চক্রবর্ত্তীকে রাজাকারের তালিকায় ৪৫ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পূর্বপশ্চিমবিডি
পাঠক মন্তব্য
How many kgs of GHANJA, you have consumed before making that statement? As per yourself, it looks like, you are a BASTARD Pakistani, as the list were made under your supervision by your bottom suckers.
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন