মিরসরাইয়ে এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে দুই যুবলীগ নেতার দ্বন্দ্ব রূপ নেয় সংঘর্ষে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিপক্ষের মোটরসাইকেল। রবিবার স্থানীয় পৌর সদর এলাকায় বেলা ১২টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অভি রায় (২৮), যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন আরাফাত (২৬), মিরসরাই পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ হোসেন লিটন (২৮) ও তাঁর ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন টুটুল (২২)। আহতদের মধ্যে আরাফাতকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় আহত মিরসরাই পৌর আওয়ামী লীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াছ হোসেন লিটন বলেন, ‘রবিবার দুপুরে উপজেলা সড়কে সিএনজি টেক্সিস্ট্যান্ডে যুবলীগের অভির সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় সে আমার ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করলে আমি তাকে চড় থাপ্পড় দিয়েছি। এরপর আরাফাত সুফিয়া রোড এলাকা থেকে আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে সে মাথায় আঘাত পায়। এর পূর্বে সে আমার ব্যবহৃত মোটরসাইকেল নিয়ে যায় এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে।’
অবশ্য এ সম্পর্কে যুবলীগ নেতা অভি রায় বলেন, ‘দুপর ১২টার দিকে আমার দোকান থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়ার পথে লিটনসহ আরো ৪-৫ জন আমাকে দাঁড়াতে বলে। দাঁড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। পরে বিষয়টি আমার বন্ধু আরাফাতকে জানাই।’
আহত স্থানীয় যুবলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন আরাফাত বলেন, ‘রবিবার দুপুরে লিটন (আওয়ামী লীগ নেতা) আমার বন্ধু সাবেক ছাত্রলীগ নেতা অভিকে মারধর করে। খবর পেয়ে সুফিয়া রোড এলাকায় আমি লিটনকে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করতে গেলে দলবল নিয়ে আমার ওপর হামলা করে। বোতলের কাচ দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়ার বিষয়টি আমি জানি না।’
এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন