বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। এর ফলে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়ার অন্তর্বর্তী মুক্তির পথ শেষ হয়ে গেল। এখন তিনি কী করবেন?
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হলো সর্বোচ্চ আইনি প্রতিষ্ঠান। এখন খালেদা জিয়ার আইনি পথে জামিন পেতে বা মুক্তি পেতে একটাই পথ খোলা আছে সেটা হলো রিভিউ আবেদন করা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রিভিউ আবেদন গ্রহণযোগ্য হয় না। আপিল বিভাগের যে বেঞ্চ তার জামিনের আবেদন করেছে সেই বেঞ্চই রিভিউ আবেদনের শুনানি করবেন। কাজেই রিভিউ আবেদনে খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর হবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টেরও মামলা রয়েছে। সেই মামলাতেও তিনি এখনও জামিন পাননি। যেহেতু এই মামলায় ৭ বছরের কারাদণ্ডে আপিল বিভাগ তাকে জামিন দেয়নি, কাজেই এই মামলায় জামিন না হওয়া পর্যন্ত বেগম জিয়ার মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই।
বেগম জিয়া ইতিমধ্যেই দুটি পৃথক মামলায় ১৭ বছর দণ্ডিত হয়ে আছেন। আজ জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার ফলে আইনি পথে তার জামিন পাওয়া বা মুক্তির সম্ভাবনার দুয়ার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল বলেই আইনজীবীরা মনে করছেন।
বাংলা ইনসাইডার
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন