বকেয়া মজুরি পরিশোধ ও মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের সিদ্ধান্ত বাতিল ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের পিএফ ও গ্র্যাচুইটির টাকা প্রদানসহ ১১ দফা দাবিতে টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে রাজশাহী জুট মিলে শ্রমিকদের আমরণ অনশন।
এদিকে, টানা অনশনে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন মেকানিক্যাল বিভাগের শ্রমিক আব্দুল গফুর। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও শতাধিক শ্রমিক কিছুটা অসুস্থ হওয়ায় তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে এই কর্মসূচি শুরু করেন রাজাশাহীসহ দেশের আরও কয়েকটি স্থানে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক-কর্মচারীরা। রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ডাকে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে শীত উপেক্ষা করে আজও মিলগেটে অবস্থান নিয়ে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন পাটকল শ্রমিকরা।
রাজশাহী পাটকল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি দুলাল হোসেন বলেন, এবার দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে অনাহারে মৃত্যুবরণ করব। কিন্তু দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মসূচি থেকে সরে আসব না।
রাজশাহী পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি জিল্লুর রহমান জানান, নিয়মিত মজুরি না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ, ঘরভাড়া দিতে না পেরে বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছেন।
তিনি বলেন, সব সেক্টরে মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন হলেও পাটকল শ্রমিকদের বেলায় অনীহা প্রকাশ করা হচ্ছে।
যতই কষ্ট হোক, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে বলেও জানান এই নেতা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন