ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার, হয়রানিসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এবার ৩২ পুলিশ সদস্য সাবেক ওসি মো. ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবেন।
আগামী ১১ তারিখে কালীগঞ্জ থানা চত্বরে এ সাক্ষীদের বক্তব্য শুনবেন খুলনা পুলিশের আরআরএফের কমান্ডেন্ট তাছলিমা খাতুন।
জানা গেছে, ৩২ পুলিশ এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদমর্যাদার। কালীগঞ্জ থানায় মো. ইউনুস আলী দায়িত্ব পালন করার সময় এই সদস্যরাও কর্মরত ছিলেন। তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার ও বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এসব নিয়ে পুলিশের বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেন তারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এসআই পদমর্যাদার একজন বলেন, আমি ওসি মো. ইউনুস আলীর সময়ে কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালন করতাম।
সারারাত ডিউটি করে ফেরার পর সকালে যখন বাসায় ফিরব, ঠিক ওই সময় ফোন দিয়ে একটা স্থানের নাম উল্লেখ করে বলবেন ওখানে ডাকাতি হয়েছে তাড়াতাড়ি যান। গিয়ে দেখি কিছুই ঘটেনি। এমন ঘটনা তিনি প্রায়ই অন্যদের সঙ্গেও করতেন।
তিনি আরও বলেন, সকালে তিনি থানায় না যাওয়া পর্যন্ত কেউ থানায় প্রবেশ করতে পারতেন না।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার সাবেক ওসি মো. ইউনুস আলীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
কালীগঞ্জ থানার বর্তমান ওসি মুহা. মাহফুজুর রহমান মিয়া বলেন, ১১ তারিখে ৩২ পুলিশ সাক্ষী দেবেন। এরা সবাই কালীগঞ্জ থানায় এর আগে কর্মরত ছিলেন। ওই দিন থানায় উপস্থিত থাকবেন খুলনা আরআরএফের কমাডেন্ট তাসলিমা খাতুন।
উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থানায় দায়িত্ব পালনকালে ওসি ইউনুস আলীর বিরুদ্ধে পুলিশের বিভিন্ন দফতরে ৪৫টি অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। এতে প্রায় ৭৫ জন সাক্ষীর বক্তব্য গ্রহণ করছেন যশোর সিআইডি।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন