পেঁয়াজের বাজারে অস্থিরতা কিছুতেই কাটছে না। বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে বহির্বিশ্ব থেকেই এরইমধ্যে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে সরকার। তারপরও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম তথৈবচ! এরইমধ্যে পাকিস্তান ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সবশেষ গতকাল রবিবার মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে এসেছ ৪১ হাজার মণ পেঁয়াজ।
গতকাল টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা মো. আবছার উদ্দিন জানিয়েছেন ১ হাজার ৬৩৮ মেট্রিক টন (৪১ হাজার মণ) পেঁয়াজ মিয়ানমার থেকে এসেছে। আরও পেঁয়াজ খালাসের অপেক্ষায় আছে।
এ ব্যাপারে টেকনাফ শুল্ক বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মাসে মিয়ানমার থেকে এ বন্দর দিয়ে মোট ৭ হাজার ৮৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। নভেম্বরে এসেছে ২১ হাজার ৫৬০ মেট্রিক জন পেয়াজ। এর আগে অক্টোবরে ২০ হাজার ৮৪৩ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বরে ৩ হাজার ৫৭৩.১৪১ মেট্রিক টন ও আগস্টে মিয়ানমার থেকে এসেছে ৮৪ মেট্রিক জন পেঁয়াজ।
১৫ বছর পর গেল ২০ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি থেকে ৮১ টন পেঁয়াজ নিয়ে একটি কার্গো বিমান শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। গেল ১৪ নভেম্বর জাতীয় সংসদে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, মিশর ও তুরস্ক থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করবে সরকার।
এরইমধ্যে তুরস্ক থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এসেছে। এই বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানির পরও বাজারে দাম এতটুকুও কমছে না। এখনও ২৭০-২৮০ কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এ নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক তোলপাড় ও সমালোচনার ঝড় উঠলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনও পদক্ষেপই দৃশ্যমান হচ্ছে না। অভিযোগ আছে, অতিরিক্ত মুনাফার লোভে পেঁয়াজের বাজারে আগুন লাগিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও ব্যবসায়ীদের মতে, কয়েক গুণ বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে বলেই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
ব্রেকিংনিউজ
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন