ড. মাহবুবর রহমান। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য পদচ্যুত প্রক্টর। এর আগেও দু দফায় প্রক্টর পদ থেকে তাকে সরানো হয়েছিল। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ। এর পর থেকে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী আর ছাত্রলীগের একের পর এক আন্দোলন চলছেই। তাকে কেন্দ্র করে ইবির অস্থিরতা কাটছেই না।
গত ২৫শে অক্টোবর শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত গ্রুপের আন্দোলনে পদচ্যুত হন ড. মাহবুব। এর পর শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা, বাসায় সন্ত্রাসী পাঠিয়ে হত্যার হুমকি, মানহানি মামলা করা হয় কয়েক দফায়।
পাল্টা জবাবে নিয়মিত বিক্ষোভ ও প্রশাসনকে বিচারের দাবি জানিয়ে আসছে ছাত্রলীগ। এরমধ্যে গত ১৮ই নভেম্বর ড. মাহবুবকে নিয়ে একটি প্রামান্য প্রতিবেদন করে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল। এতে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ ও ছাত্র জীবনে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। পরদিন তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে ছাত্রলীগের ওই গ্রুপ। পরদিন আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভিসিকে দাবি জানিয়ে আসে প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরামের কনিষ্ঠ কিছু শিক্ষক। তারা ড. মাহবুবকে শিবির আখ্যা দেয়া ও কুশপুত্তলিকা দাহের প্রতিবাদ জানান।
ওদিকে আজ শনিবার সকাল ৯টায় সাবেক ছাত্রলীগের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে ড. মাহাবুবের ২৫/৩০ জন অনুসারী। এর মধ্যে কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্যাম্পাসের দিনমজুর ও বহিরাগত কয়েকজন অংশ নিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছে বর্তমান ছাত্রলীগের নেতারা। পরে আপগ্রেডিং বোর্ড চলমান অবস্থায় বিনা অনুমতিতে ভিসির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অফিসে ঢুকে পড়ে তারা। এতে ক্ষিপ্ত হন ভিসি ও প্রো-ভিসি।
এদিকে মানববন্ধনের প্রতিবাদে পাল্টা বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রলীগের বর্তমান নেতা-কর্মীরা। তারা ড. মাহাবুব ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয়। এদিকে বিবৃতি দিয়েছে শাপলা ফোরাম। তারা ড. মাহাবুবকে নিয়ে চলমান আন্দোলনে উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এবিষয়ে ভিসি ড. রাশিদ আসকারী সাংবাদিকদের বলেন, ড. মাহবুবের ঘটনায় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মী পরিচয়ে কয়েকজন এসেছিল। শিক্ষকের মানহানির বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে দাবি জানিয়েছেন তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন