গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে চার কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে দাম বেড়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এরপরও গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসে শেয়ারবাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বাদে বাকি দু’টি সূচকের উত্থান হয়েছে। সূচকের এই উত্থানের মধ্যে বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৪৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দাম বাড়ার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই কমেছে অর্ধ শতাংশের ওপরে। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১২ দশমিক ৪৫ পয়েন্টে। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত বেড়েছে দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট বা দশমিক ৫৬ শতাংশ।
খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৭ দশমিক ৭৩ পয়েন্টে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেবা ও আবাসন খাতের পিই ৯ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট অবস্থান করছে। এর পরের স্থানেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই ১১ দশমিক ২৩ পয়েন্টে রয়েছে।
এছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের পিই ১৩ দশমিক ২১ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৪ দশমিক ৫১ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৮ দশমিক ২৯ পয়েন্ট, খাদ্য খাতের ১৪ দশমিক ৩১ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৬ দশমিক ৫২ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ১৫ দশমিক ৮১ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ১৮ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট এবং পেপার খাতের ১৮ দশমিক ৮৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর পিইও রেশিও ২০ পয়েন্টের ওপরে। এর মধ্যে- প্রকৌশল খাতের ২৭ দশমিক ৭২ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২১ দশমকি ৫০ পয়েন্টে, তথ্য প্রযুক্তির ২১ দশমিক শূন্য ৬ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ৩০ দশমিক ৩০ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২৯ দশমিক ৬৫ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩১ দশমিক ৭৮ পয়েন্টে এবং পাট খাতের ৩৯০ দশমিক ৭৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন