গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে এক নারী জনপ্রতিনিধি তার স্বামীর নামে সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প ‘জমি আছে ঘর নেই’ এর ঘর বরাদ্দ নিয়েছেন। গরিবের বরাদ্দের ঘর স্বামীর নামে নেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী। অবশ্য উপজেলা চেয়ারম্যান বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস জানিয়েছেন।
গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার পবনাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য জুঁই বেগমের বাড়িতে গেলেই দেখা মিলবে আশ্রয়ন প্রকল্পের এ ঘরটি। স্বচ্ছল থাকা সত্ত্বেও নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নিজের বাড়িতেই নির্মাণ করেছেন ঘরটি। শুধু তাই নয়, তার ঘরেও রয়েছে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণের টিন।
স্থানীয় যুবক মাহমুদ আব্বাস জানান, গরিবের বরাদ্দের ঘর নিজের বাড়িতে নির্মাণ করেন মহিলা মেম্বার জুঁই বেগম। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়েছেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবিব বলেন, যাদের জমি নাই তারা এ ঘর পাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে তারাই নিজের নামে নিয়ে নেয়। জুঁই বেগমের বড় ছেলে বিদেশে থাকেন। আর তার নিজের তিন বিঘা আবাদি জমি রয়েছে।
গাইবান্ধা পলাশবাড়ি ৭ নম্বর পবনাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য জুঁই বেগম বলেন, আমার বাড়ি নাই এ কারণে এটি নিয়েছি। চেয়ারম্যান ভাই আমারে দিছে। ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও সাংবাদিককে যা ইচ্ছা তা লেখার জন্য বলে এক প্রকার হুমকি দেন তিনি।
গাইবান্ধা পলাশবাড়ি ৭ নম্বর পবনাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম মণ্ডল বলেন, যদি কোনো কিছু লেখার থাকে তো লেখেন। এতে আমার কোনো বাধা নেই।
পলাশবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ বলেন, কোনো জনপ্রতিনিধির এ ধরনের ঘর নেয়ার এখতিয়ার নেই। তিনি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ধরনের কোনো ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে আমি দেখবো। সুষ্ঠু ব্যবস্থা নিতে যা করা প্রয়োজন সেটা করবো।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন