সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরের ঘোষণার দ্বিতীয় দিনেও চোখে পড়ছে তেমন কোন পরিবর্তন। খোদ প্রশাসনের গাড়িই মানছে না আইন। পথচারীরা আগের মতোই যেখানে সেখানে রাস্তা পার হচ্ছেন। নতুন আইনে মামলা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্লিপ এখনো পৌঁছায়নি ট্রাফিক পুলিশের হাতে। এদিকে, রাজধানীতে আজ ৮৮ মামলা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সিট বেল্ট না বাঁধলে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীর গাড়িতেও এ নিয়ম মানা হচ্ছে না। গণপরিবহনের চালকদের সিট বেল্ট বাঁধতে দেখা যায়নি। প্রাইভেট গাড়িতেও পুরোপুরি মানা হচ্ছে না সিটবেল্ট বাঁধার নিয়ম।
একজন বলেন, সিটবেল্ট টা ছিড়ে গেছে, তাই পড়তে পারছি না।
আরেকজন বলেন, সিটবেল্ট আছে, কিন্তু পড়া হয়নি।
নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকরে যত্রতত্র রাস্তা পারাপার করলে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান থাকলেও এখনো হরহামেশা রাস্তা পার হচ্ছেন পথচারীরা।
এক পথচারী বলেন, এই বিষয়টা আমি জানি, কিন্তু না মানার কারণে আমি দুঃখিত। কিন্তু সামনে তো ট্রাফিক আছে, উনি তো আমাদের কোন হস্তক্ষেপ করছে না।
যেখানে সেখানে চলছে যাত্রী ওঠানামাও। মানা হচ্ছে না সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা।
এক যাত্রী বলেন, গাড়িতে কোন ভাড়া তালিকা নেই। আগে যেভাবে ভাড়া নেওয়া হতো। এখন সেভাবেই ভাড়া নেয়া হচ্ছে।
এদিকে, লাইসেন্স আর ফিটনেস না থাকায় হঠাৎ করেই রাজধানীতে কমে গেছে গণপরিবহনের সংখ্যা। ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
একজন বলেন, আমি মনে করি এটা ভালো উদ্যোগ কিন্তু যাত্রীদেরও একটু কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এক ট্রাফিক বলেন, এখনও আমাদের নির্দেশনা কার্যকরের কোন কাগজ পত্র দেয়নি। তাই এখনও আমরা পুরোপুরে কাজ শুরু করতে পারিনি।
অপরদিকে, আইন মানাতে এখনো ট্রাফিক পুলিশের তেমন তৎপরতা চোখে পড়েনি। নতুন আইনে মামলা করার স্লিপই হাতে পায়নি তারা।
পাঠক মন্তব্য
সকল মন্তব্য দেখার জন্য ক্লিক করুন